হিমবাহ ভেঙে তুষারধস উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলায়। রবিবার সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের জেরে ধউলিগঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে, তীব্র জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা। আট বছর পরে কেদারনাথের একই চিত্র ভেসে উঠল। ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে তুষারধস। নিখোঁজ প্রায় ১৫০ জন। ঘটনাস্থলের মোতায়েন করা হয়েছে ITBP জওয়ানদের।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, 'ঋষিগঙ্গা পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পে ঘটনার সময় ১৫০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। বর্তমানে তাঁরা নিখোঁজ। অনেকেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।'
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের উদ্ধারকারী দল। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে নরেন্দ্র মোাদী ট্যুইট করে লেখেন, ‘গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিপন্নদের জন্য প্রার্থনা করছে দেশবাসী। আমি নিজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ধার কাজের প্রতি মুহূর্তের খবর রাখছি আমি।'
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'প্রবল বৃষ্টি ও প্লাবনের জেরে চামোলির রেনি গ্রামে ঋষিগঙ্গা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অলকানন্দায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।'
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ট্যুইটে বলেন, “উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আইটিবিপি ও এনডিআরএফের ডিজিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ট সকল আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ করছেন। এনডিআরএফ দলগুলি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডের এই দেবভূমিকে সব রকম সহায়তা প্রদান করা হবে।”