ধর্ষণের (Rape Case) জন্য দায়ী মোবাইল ফোন (Mobile)! "মেয়েদের হাতে ফোন দিতে নেই, মেয়েরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় বাড়ছে ধর্ষণ", এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের এক সদস্যা। আলিগড়ে মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের শুনানিতে হাজির হয়ে ওই সদস্যা বলেন, "মেয়েদের হাতে মোবাইল দেওয়া উচিত নয়। মোবাইলের জন্য বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। মোবাইল হাতে পাওয়ার ফলে অচেনা ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে মেয়েরা। তারপর তাদের সঙ্গে পালিয়ে যায়। পরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় তারা।"
এরসঙ্গেই তিনি মেয়েদের মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, "মেয়েদের লালন পালনের ক্ষেত্রে মায়েদের যত্নবান হওয়া দরকার। মেয়েরা কখন কার সঙ্গে মেলামেশা করছে তা দেখা দরকার। খেয়াল রাখা উচিত এসবে।" তাঁর মতে, "বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন মেয়েদের বিরুদ্ধে ২০-২২টি অপরাধের খবর পাই। দেখা যায় তার মধ্যে ৫-৬টি অপরাধের জন্য এই মোবাইল দায়ী থাকে। এই ফোনে বন্ধুত্ব পাতিয়ে মেয়েরা পালিয়ে যায়। পরে নির্যাতিতা হয় তারাই।" স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এরপরে তাঁর মন্তব্যকে একান্ত ব্যক্তিগত মতামত বলে নিজেদের ভাবমূর্তি বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুজা চৌধুরী বলেন, "মেয়েদের হাতে মোবাইল দেওয়া অনুচিৎ, এটা বলা ঠিক নয়। তবে তাঁরা যাতে মোবাইলের ভুল ব্যবহার না করে সেদিকে নজর রাখা দরকার। অচেনা মানুষের সঙ্গে যাতে কথা না বলে সেটা দেখতে হবে।”