আন্দাজ ছিল জিডিপি বৃদ্ধির হার কমবে। কিন্তু এই বিপুল ধাক্কা আশা করেননি কেউই। আজ প্রকাশ পেলো চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিক জিডিপি রিপোর্ট। প্রকাশের আগে পর্যন্ত হওয়া সমস্ত সমীক্ষা আন্দাজ করছিল বৃদ্ধির হার হয়তো গিয়ে দাঁড়াবে -১৫% থেকে -১৮% এর কাছাকাছি। কিন্তু রিপোর্ট জানান দিচ্ছে সেই সংখ্যাটা -২৩.৯%!
সোমবার জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস থেকে প্রকাশ করা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে নির্মাণ এবং পরিকাঠামো শিল্পে যেটা প্রায় -৫১%। এছাড়া হোটেল রেস্তোরা ক্ষেত্রে পতনের হার -৪৭%। আশার বিষয়, পজিটিভ বৃদ্ধি দেখা গেছে কৃষিক্ষেত্রে।
এই অর্থবর্ষের প্রথম দুমাস মাস কেটেছে সম্পূর্ণ লকডাউনে। মার্চের শেষে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা। তারপর দফায় দফায় বন্ধ থাকা দিনের সংখ্যা বৃদ্ধি। জুন থেকে আনলক শুরু হলেও শর্ত সাপেক্ষ খোলার ফলে আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।
তার সাথে লকডাউন চলাকালীন প্রধানত কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা প্রচুর মানুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। এখনও পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় তাঁদের কাজে ফেরা হয়নি আর। একইসাথে চলতে থাকা আর্থিক মন্দার প্রকোপে কাজ হারাতে থাকেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ফলে সবটার কোপ এসে পড়েছে সোমবার প্রকাশিত রিপোর্টে।
এই শোচনীয় অবস্থায় কেন্দ্রকে বিঁধতে ছাড়েননি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি এটা অর্থনৈতিক ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়ে বলেছেন, সরকার এই অতিমারি পরিস্থিতিতে কখনোই কিভাবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায় সেই বিষয়ক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারই ফল এই পতন। এই সরকারের হাতে আর্থিক বিপর্জয় ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না বলে কটাক্ষ করেছেন অন্যান্য বিরোধী নেতারাও।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন পরের তিন মাসের রিপোর্টে যদি পতন অব্যাহত থাকে তাহলে ভারতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে বলে ঘোষণা করতে হবে।