আফগানিস্তান (Afghanistan) যেন সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘরে পরিণত না হয়। জি২০ বৈঠকে (G20 Summit) তেমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মঙ্গলবারের এই বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই সময় গোটা বিশ্বকে আফগান নাগরিকদের পাশে থাকতে হবে। আফগান নাগরিকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানে একটি গঠনমূলক প্রশাসনের প্রয়োজন, সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
গত মাস দুয়েক আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। সরকার গঠনের কথা মুখে বললেও খাতা-কলমে এখনও সরকার গঠন করতে পারেনি। তার মধ্যেই সংবাদমাধ্যমে সেদেশের তালিবানি শাসনের নৃশংস ছবি বারবার উঠে এসেছে। এ নিয়ে গোটা বিশ্ব উদ্বেগ প্রকাশ করলেও পাকিস্তান বারবার তালিবানদের পাশে থেকেছে। এমন অবস্থায় আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। মঙ্গলবারের জি২০ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি তালিবানদের আক্রমণ না করলেও ঘুরিয়ে সেদেশের সাধারণ জনগণের সার্বিক স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলেছেন। তাই সাফ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের মাটি যেন হিংসা ও সন্ত্রাসের ভিত্তিভূমি না হয়ে যায়।
জি২০ বৈঠকের পর এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, "আফগানিস্তান প্রসঙ্গ নিয়ে জি২০ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলাম। আফগানিস্তান যেন সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রভূমিতে পরিণত না হয়। সবার আগে সেদেশের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। তার জন্য একটি গঠনমূলক প্রশাসনের প্রয়োজন আছে।" ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা প্রধানমন্ত্রী সরাসরি তালিবানদের বিরুদ্ধে কিছু না বললেও সেদেশের সাধারণ জনগণ যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সেদিকে গোটা বিশ্বকে নজর দেওয়ার কথা বলার মধ্য দিয়ে এক বিশেষ ইঙ্গিত দিলেন।
আফগানিস্তানে তালিবানি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আখেরে লাভ পাকিস্তানের। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলেছেন, পাকিস্তান বরাবরই আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ভারতে অশান্তি তৈরির জন্য আফগানিস্তান পাকিস্তানের পাশে থাকলে লাভ তাদেরই। এমন অবস্থায় আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারের অতিরিক্ত 'প্রীতি' সেকথাই জানান দেয়। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন জি২০ বৈঠকে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে দিলেন ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য। তিনি আগে আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টিকে নজর দিতে গোটা বিশ্বের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।