সংসদে বাদল অধিবেশন (Monsoon session) চলছে। এর মধ্যেই পেগাসাস কাণ্ড (Pegasus) নিয়ে রীতিমত উত্তাল সংসদ চত্বর। বিরোধীদের এককাট্টা প্রতিরোধে জেরবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এর মধ্যেই আজ থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে শুরু হচ্ছে কৃষক আন্দোলন (Farmer Protest)। কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক মাস ধরে যে আন্দোলন চলছে, তা এই বাদল অধিবেশনের সময় আরও জোরদার করতে কৃষকদের এই পদক্ষেপ বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের অনুমতিক্রমে এই আন্দোলন চলবে। তবে বেশকিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে পুলিশ। এই প্রতিবাদ আন্দোলনে ২০০-র বেশি কৃষক যোগদান করতে পারবেন না। প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এই প্রতিবাদ আন্দোলন করা যাবে। পাশাপাশি কোন মিছিল কিংবা কোন প্রকার জমায়েত করা যাবে না। দিল্লি পুলিশের তৎপরতায় ৪ টি বাসে এই প্রতিবাদী কৃষকদের সিঙ্ঘি বর্ডার থেকে নিয়ে আসা হবে যন্তর-মন্তরে। ফের প্রতিবাদ শেষে নির্দিষ্ট স্থানে ছেড়ে দিয়ে আসা হবে। প্রত্যেক কৃষকদের কাছে থাকতে হবে বৈধ কাগজপত্র। পাশাপাশি সকল প্রতিবাদী কৃষকদের কঠোরভাবে মানতে হবে কোভিড বিধি-নিষেধ।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক আলোচনার পর শর্তসাপেক্ষে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এই প্রতিবাদ করার অনুমতি দিয়েছে। কৃষক নেতা দর্শন পাল সিং বলেছেন, ২০০ কৃষকদের একটি দল চারটি বাসে গিয়ে প্রতিবাদ সভায় অংশ নেবেন। যেখানে কেন্দ্র সরকারের তিনটি কৃষক বিরোধী বিলের বিষয়ে আলোচনা ও প্রতিবাদ সভা জারি থাকবে। দিল্লি পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বর থেকেই এই আন্দোলন চলছে। কেন্দ্র সরকারের তিনটি কৃষক বিরোধী আইনের বিরোধিতায় চালু থাকা এই আন্দোলন কোভিড পরিস্থিতিতে কিছুটা স্তিমিত হলেও ফের নতুন উদ্যমে শুরু হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। চলতি বছরে কৃষক আন্দোলনের মধ্যে যে ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে সেদিকে নজর রেখে এই আন্দোলনের অনুমতি মিলেছে বলে সূত্রের খবর।