এবারে আফগানিস্তান থেকে অবশেষে সেনা প্রত্যাহার করতে চলেছে আমেরিকা। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো চাপে পড়েছে ভারত। আফগানিস্তানের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তালিবান। তালিবানের এই অধিক সক্রিয়তায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে এবার রাশিয়ার সঙ্গে নতুন নয় যৌথ নীতি গ্রহণ করতে চলেছে ভারত সরকার। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাদের আলোচনায় আফগানিস্তান প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বলে খবর। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, " আমাদের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য আমরা মনে করছি ওই অঞ্চলে হিংসা থামানো অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ আঞ্চলিক নিরাপত্তার কারণে আমাদের দুজনের ক্ষেত্রেই আফগানিস্তান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। যদি আফগানিস্তান এবং তার আশেপাশে শান্তি স্থাপন করতে হয় তাহলে ভারত এবং রাশিয়াকে ভালোভাবে কাজ করতে হবে এবং একসাথে হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে। ওই দেশে এখনো পর্যন্ত সামাজিক অর্থনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক উন্নতি হওয়া প্রয়োজন। "
তবে বিশ্লেষকদের ধারণা আলাদা। তারা বলছেন যদি কোনভাবে মার্কিন সেনা সেখান থেকে সরে আসে তাহলে আফগানিস্তানের আবারো ক্ষমতা দখল করবে তালেবানের মতো বেশ কিছু জঙ্গী সংগঠন। তেমনটা হলে রীতিমতো চাপে পড়ে যাবে ভারত। কারণ, আবারো আফগানিস্তান থেকে ভারতীয় সংস্থাগুলির উপরে টার্গেট রাখবে পাকিস্তানি মদদপুষ্ট সমস্ত জঙ্গী সংগঠন। এছাড়াও আইএসআই এর মত বেশ কিছু সংগঠন তালিবানের মাধ্যমে ভারতের সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিতে পারবে। আর যদি সে রকমটাই হয় তাহলে ভারতের পক্ষে অত্যন্ত বড় একটি অশনি সংকেত।