শুক্রবার কর্ণাটক সরকারের তরফ থেকে জানানো হল, করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন আক্রান্ত দেশের প্রথম ব্যক্তিটি রাজ্য থেকে পালিয়ে গেছেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের সরকার জানিয়েছিল, বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
এবিষয়ে কর্ণাটকের অর্থমন্ত্রী আর অশোক জানিয়েছেন, সাংগ্রি-লা হোটেল থেকে কিভাবে পালালেন দেশের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি, তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি আরও জানিয়ে বলেন, বিমানবন্দর থেকে বেপাত্তা হয়ে যাওয়া আরও ১০ জনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। তাঁর কথায়, আজ রাত্রিবেলার মধ্যেই গায়েব হয়ে যাওয়া ১০ জন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা হবে এবং তাদের কোভিড পরীক্ষা করা হবে।
কর্ণাটক সরকারের মারফত জানা গিয়েছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত দেশের প্রথম ব্যক্তি গত ২০ নভেম্বর সাউথ আফ্রিকা থেকে ভারতে আসেন। ৬৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সাতদিন দেশে থাকার পর ভারত ছাড়েন। বিদেশ থেকে এদেশে আসার সময় তাঁর কাছে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট ছিল। তবে ২০ তারিখ আবারও ব্যাঙ্গালোরে তাঁর কোভিড টেস্ট হয়। সেদিনই তাঁর করোনার টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁর হোটেল রুমে ডাক্তার এসে তাঁকে উপসর্গবিহীন দেখে সেলফ-আইসোলেশনের নির্দেশ দেন।
গত ২২ তারিখ জিনোমিক সিকোয়েন্সিং-এর উদ্দেশ্যে তাঁর টেস্ট স্যাম্পেল ফের পাঠানো হয় ল্যাবরেটরিতে। এদিকে ২৩ তারিখ একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে তিনি নিজের টেস্ট করান, যেখানে তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ২৭ তারিখ হোটেল থেকে চেক-আউট করে ওই ব্যক্তি এয়ারপোর্ট যান। সেখান থেকে তিনি প্লেনে করে দুবাই চলে যান।