প্রতিবেশী এক ব্যক্তির দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন এক শিশু। সে গোটা ঘটনাটি তার বাবা-মায়ের কাছে জানায়। সেই দিনই নির্যাতিতার অভিভাবক পুলিশের দ্বারস্থ হন। দায়ের হয় মামলা। পুলিশ তড়িঘড়ি তদন্তে নেমেই সেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আদালতে মামলা শুরু হলে পকসো আইন (Pocso Case) মামলায় দ্রুততম শুনানি এবং দোষীর শাস্তি ঘোষণা করে নজির গড়ল আদালত। এই ঘটনায় গোটা দেশের আইন ব্যবস্থায় নজির তৈরি করবে বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ২২ জুলাই। বিহারের (Bihar) আরারিয়ার এক শিশু যৌন হেনস্থার শিকার হন। অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির হাতে নিগৃহীতা হয় সেই শিশুটি। কাঁদতে কাঁদতে গোটা ঘটনাটি সে তার বাবা-মাকে জানায়। এরপর তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ সেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন। আরারিয়ার আদালতে শুনানি শুরু হয়। বাদী-বিবাদীর বক্তব্য শুনে আদালতের বিচারপতি শশীকান্ত রাইয়ের বেঞ্চ সেই দিনের মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য ধৃতকে ৭ লক্ষ টাকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একদিনের মধ্যেই বিচার প্রক্রিয়া, মামলার শুনানি এবং দোষীর শাস্তি ঘোষণায় নতুন নজির তৈরি করেছে এই আদালত।
উল্লেখ্য, এদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। 'তারিখ পে তারিখ'-এর চক্করে মানুষের জুতোর সুকতলা ছিঁড়ে যায়। তারপরও মামলা সমাপ্ত হয় না। এর আগে মধ্যপ্রদেশে মাত্র তিন দিনেই ধর্ষণ মামলায় শাস্তি পেয়েছিল অভিযুক্ত। আর এবার বিহারে দিনের দিন মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণায় নতুন নজির তৈরি হল বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।