পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর খোঁজ মিলল সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানের স্ত্রীয়ের। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের (Kanpur) ভাউপুর মইথা এলাকার একটি নালায় পাওয়া যায় মহিলার মৃতদেহ। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে কানপুর পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার প্রেমিক-সহ মোট তিনজনকে।
পুলিশ জানিয়েছে, খুন করা হয় ঐ মহিলাকে। এবিষয়ে দক্ষিণ কানপুর পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, ‘খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মুক্তার নামক মূল অভিযুক্ত এবং মহিলার প্রেমিককে শনাক্ত করা গিয়েছে। তদন্ত চলছে’।
জানা গিয়েছে, ইন্দারপাল নামে ঐ সিআরপিএফ জওয়ান কানপুরের পাঙ্কি রতনপুর কলোনির বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন তিনি ভোটের কাজে মেনপুরি’তে ছিলেন। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী গীতা (৩৪), দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইন্দারপাল তাঁর স্ত্রীকে একাধিক ফোন করেও সাড়া পাননি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি পাঙ্কি থানায় খবর দেন। ইন্দারপালের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পাঙ্কি থানার পুলিশ পৌঁছালে তাঁরা গীতাকে দেখতে পাননি। যদিও ঘটনাস্থলে খালি বিয়ারের বোতল, গ্লাস-সহ বেশ কিছু আপত্তিকর জিনিস খুঁজে পায় পুলিশ। ২১ ফেব্রুয়ারি ঘরে ফিরে এসে স্ত্রীয়ের নামে থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন ইন্দারপাল। তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নিখোঁজ হওয়ার আগে মহিলা শেষ ফোনটি করেছিলেন মুক্তার নামক এক ব্যক্তিকে। এরপরেই পুলিশ মুক্তারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরায় মুক্তার নিজের দোষ স্বীকার করে। ঘটনার পাঁচদিন পর, শুক্রবার রাত্রে স্থানীয় একটি নালা থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জেরায় মুক্তার জানায়, অন্য একজনের সঙ্গে গীতার সম্পর্ক গড়ে ওঠায় মুক্তার তাঁর উপর বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। অন্যদিকে মৃতার ছেলে পুস্পেন্দ্র সিং নামক এক জমির দালালকে শনাক্ত করেন দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে। মনে করা হচ্ছে, পুস্পেন্দ্রর সাথেই দ্বিতীয় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মহিলার। এদিকে মুক্তার জানিয়েছে, ইন্দারপালের সঙ্গে গীতার বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।