বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Budddhadeb Bhattachaya) দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রজাতন্ত্র দিবস এর আগে মঙ্গলবার পদ্মসম্মান প্রাপকদের একটি তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে যেখানে অন্যতম তারকা হিসেবে নামাঙ্কিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম। কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ (Ghulam Nabi Azad), অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Victor Banerjee) সঙ্গে এক সারিতে বসলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ৩৪ বছরের বাম শাসনের শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্মান প্রদর্শনে অত্যন্ত খুশি আলিমুদ্দিন।
২০০০ এর প্রথমদিকে জ্যোতি বসু যখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে ব্যাটন তুলে দিলেন, তারপর থেকে বামপন্থীদের অভিভাবক হিসেবে উঠে এসেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তৈরি হয়েছিল ব্র্যান্ড বুদ্ধ। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বাম শাসনের অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে কিছুটা আড়ালে চলে গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। তবুও অসুস্থ শরীর নিয়েই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামপন্থীদের টনিক দিতে ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন বুদ্ধদেব। যদিও, গাড়ির বাইরে পা রাখতে পারেননি তিনি। কিন্তু অসুস্থ শরীর নিয়েও কমরেডের মনোবল জুগিয়েছিলেন বুদ্ধদেব।
ভোটের ময়দানে যখন নন্দীগ্রামে সব জায়গায় আলোচনা, তখনো বাম আমলে জমি আন্দোলন পর্বের ষড়যন্ত্র নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু তবুও সক্রিয় রাজনীতিতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখনো অনুপস্থিত। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থতার পাশাপাশি গতবছর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী মিরা ভট্টাচার্য। লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে ছিলেন, ব্রিগেডে লালপতাকার জোয়ার, আর তিনি গৃহবন্দি। বাংলার বামপন্থা আর বুদ্ধ যেনো এক মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাই এরকমই এক জননেতাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করে তাকে সম্মানিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।