বিভিন্ন বিমা সংস্থার (Insurance Company) কাছে স্বাস্থ্য বিমা (Health Insurance) করে রাখা সত্ত্বেও উপভোক্তাকে নানা জটিলতায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এবার এই ব্যবস্থার কিছুটা বদল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ থাকে না, তখন বাড়িতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হয়। চিকিৎসক বাড়িতে আসেন, রোগীর সবধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা বাড়িতেই করেন। তখন কিন্তু বিমা সংস্থার কাছ থেকে কোন প্রকার সুবিধা পেতে ব্যর্থ হন গ্রাহকরা। বিমা সংস্থার সুবিধা পেতে গেলে এতদিন কোন রেজিস্টার্ড হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে ভর্তি হতে হত। এবার সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে চলেছে বলে জানা গেছে। রোগী বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও বিমা সংস্থার থেকে সবধরণের সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা অর্থাৎ ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই)।
সূত্রের খবর, এতদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হলে এই বিমা সংস্থা গুলির কাছ থেকে সুবিধা পাওয়া যেত। তাছাড়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অ্যাম্বুল্যান্সের খরচ কিংবা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সামান্য খরচ দিয়েছে বিমা সংস্থা গুলি। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে যাবতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার বদল ঘটেছে। মানুষ বাড়িতে থেকে ডাক্তারের নির্দেশ মতো চিকিৎসা করাতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন। তার জন্য জটিল অস্ত্রোপচার বা জটিল চিকিৎসা ব্যতিরেকে মানুষ বাড়িতেই সমস্ত চিকিৎসার কাজ করছেন। এমন অবস্থায় বিমা সংস্থা গুলি সব ধরণের সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর মনে করছে কেন্দ্রীয় বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
উল্লেখ্য, বিমা সংস্থা গুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চলতি পলিসি গুলিতে এই ব্যবস্থা যুক্ত করতে হবে। তবে গ্রাহকদের এই সুবিধা পেতে যে হারে প্রিমিয়াম দেন, তার চেয়ে বেশি দিতে হবে। সেই অর্থের পরিমাণ ঠিক করবে বিমা সংস্থা গুলি। গ্রাহকদের কাছে যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে বাধ্য থাকবে বিমা সংস্থা গুলি। সেক্ষেত্রে রোগীর বয়স, চিকিৎসার ধরণ, চিকিৎসা খরচ মেটানোর যাবতীয় শর্ত, চিকিৎসা খরচ সংক্রান্ত ঝুঁকি সমস্ত তথ্য জানাতে বাধ্য থাকবে বিমা সংস্থা গুলি।
কোভিডের কারণে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাতে অধিকতর স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন একাংশ। এক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচ যেমন কমছে, তেমনি কোভিডের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকছে গ্রাহক। এমন অবস্থায় বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। তাই কেন্দ্রীয় বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে এমন উদ্যোগ বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিমা সংস্থার ক্ষেত্রে এই নিয়ম পালনের কথা বলা হয়েছে।