নতুন বছর শুরুর আগেই বড়সড় স্বস্তি পেল মধ্যবিত্তরা। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সকলকেই। এরমাঝেই জানা গিয়েছে সস্তা হবে ভোজ্যতেল। আসলে বেশিরভাগ ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী বড় বড় সংস্থা তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বা এমআরপি মূল্য ৩০ থেকে ৪০ টাকা অব্দি হ্রাস করেছে। এই মূল্য হ্রাসের পর কেন্দ্র সরকার সমস্ত ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী সংস্থার সাথে বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছে যে প্রত্যেকটি রাজ্যের ক্রেতারা যাতে এই হ্রাস হওয়া মূল্যের ভোজ্যতেল ক্রয় করতে পারে।
এই প্রসঙ্গে খাদ্য ও গণবন্টন দপ্তরের সচিব ড: সুধাংশু পান্ডে বলেছেন, "বিভিন্ন ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী সংস্থা তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস করেছে। আসলে এই রান্নার তেলের আমদানি মূল্য প্রায় শূন্যের ঘর স্পর্শ করেছে। তাই আমদানি মূল্য কমে যাওয়ায় তেলের দাম ১৫-২০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ক্রেতারা সঠিক এমআরপি মূল্যে ভোজ্যতেল পায়।" সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে নাকি খেয়াল রাখার জন্য প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ভোজ্যতেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি তাদের নতুন সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বা এমআরপি মূল্য প্যাকেট বা বোতলের গায়ে প্রিন্ট করা শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, রুচি সয়া ইন্ডাস্ট্রি তাদের বিভিন্ন রান্নার তেলে প্রতি লিটারে ১৪-৩০ টাকা দাম কমিয়েছে। অন্যদিকে, আদানির ফরচুন ব্র্যান্ড ওয়েলে দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।