ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) চাঞ্চল্যকর মোড়। এর সাথে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে হাওলার যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর পেয়েছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। আর এর পরে সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বয়ানকে ফের ঘেঁটে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির (ED) দাবি ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মুম্বাই এবং কলকাতার একাধিক হাওলার যোগাযোগ ছিল।
সূত্র বলছে, হেরাল্ডের অফিস তল্লাশি করার পরই এই সূত্র মিলেছে। পাশাপাশি রাহুল এবং সোনিয়া যে দাবি করেছেন হেরাল্ড সংক্রান্ত সব লেনদেন মতিলাল ভোরা করতেন, সেটা পুরোপুরি ঠিক নয় বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। যদিও ইডির এই তৎপরতাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে ব্যক্ত করে কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, "যেভাবে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, সেভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না। এভাবে সংবিধান অনুযায়ী কাজ করা যায় না।" রাহুল গান্ধীও পাল্টা হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, "আমরা ভয় পাই না। বিজেপি যা খুশি করুক। আমি দেশকে রক্ষা করার কাজ করে যাব। গণতন্ত্র ও সৌভ্রাতৃত্বকে রক্ষা করব।"
প্রসঙ্গত, ১৯৩৮ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা মিলে ন্যাশনাল হেরাল্ড তৈরি করেছিলেন। অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের তরফে এই সংবাদপত্র প্রকাশ করা হত। ২০০৮ সালে কংগ্রেসের থেকে ৯০ কোটি টাকার ঋণ পুনরুতজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর এই সংবাদপত্রটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১০ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া নামের একটি সংস্থা এজিএল অধিগ্রহণ করেছিল। ইয়ং ইন্ডিয়ার পরিচালন বোর্ডে সনিয়া ও রাহুল গান্ধী ছিলেন। ২০১২ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, ইয়ং ইন্ডিয়া কর্তৃক এজিএল অধিগ্রহণে সনিয়া, রাহুল সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাই এতকাল পর ফের ফুঁড়ে বেড়িয়েছে।