করোনার ত্রাসে কাবু গোটা দেশ। এদিকে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ২৮১ জন। যার মধ্যে কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২,৯৭০ জন। সংক্রমণের নিরিখে প্রত্যাশিতভাবেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে করোনা আক্রান্ত ২,৮২১ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৮২২ জন । হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৭৯৭ ও ৬২৩ জন। আর এতেই উদ্বেগের বিষয় অক্সিজেন, বেড এবং চিকিৎসকের পরামর্শ। এমন পরিস্থিতিতে ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বার্তা দিলেন, আতঙ্কিত না হওয়ার।
রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, সচেতন থাকুন। সাথেই কুর্নিশ জানালেন করোনা যোদ্ধাদের সংগ্রামকে, এবং আশ্বাস দিলেন বিনামূল্য টিকাকরণ নিয়েও। তিনি এদিন বলেন, "করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উপায় টিকাকরণ। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যগুলিকে বিনামূল্য ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। সেই টিকা পেয়েছেন ৪৫ ঊর্ধ্বরা। আগামী দিনেও এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলবে।"
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এবার বেসরকারি সংস্থাগুলিও তাঁদের কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে পারবে। আরও একবার মনে করিয়ে দেন, ১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সকলেই টিকা পাবেন। একইসঙ্গে টিকাকরণ সংক্রান্ত গুজব থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "করোনা মানুষেক ধৈয্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। তাই সহজে হেরে গেলে চলবে না। কোভিডের প্রথম ধাক্কা সফলভাবেই সামাল দিয়েছিল দেশ। যার জন্য দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছি আমি।”
তবে এদিন কোভিশিল্ডের পর এবার দাম বেঁধে দেওয়া হল কোভ্যাকসিনেরও। সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে দাম ধার্য হয়েছে ৬০০ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালকে কোভ্যাকসিন কিনতে হবে ১২০০ টাকায়, এমনটাই জানিয়ে দিল কোভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। তবে সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যেই টিকা পাবেন, আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী।