ইউনেস্কোর তরফ থেকে মঙ্গলবারই ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর তকমা পেল গুজরাটের ঢোলাভিরা গ্রাম। এদিন ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’র বৈঠকে ঢোলাভিরা-কে এই মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ঘটনায় জারাপনাই খুশি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই বিষয়ে আজ টুইটও করেন।
প্রসঙ্গত, ঢোলাভিরা হরপ্পা সভ্যতারই অংশ। গুজরাটের ‘কছ’ জেলায় অবস্থিত এই গ্রামটির সাথে হরপ্পা যোগ পাওয়া যায় ১৯৬৭-১৯৬৮ সালে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সদস্য জে পি জোশি এই অঞ্চলের খননকার্য চালান। এটি হরপ্পা আমলের পঞ্চম বৃহত্তম নগরী। আজও ঢোলাভিরার ধ্বংসাবশেষের প্রতিটি দেওয়াল বহন করছে প্রায় ৪,৫০০ বছরের ইতিহাস। ঢোলাভিরা ছাড়াও ভারতের অপর কিছু উল্লেখযোগ্য সিন্ধুনগরী হল, কালীবঙ্গান(রাজস্থান), লোথাল(গুজরাট), সুরকতাডা(গুজরাট), বানওয়ালি(হরিয়ানা), রাখিগরহি(হরিয়ানা)। এছাড়াও মহেঞ্জোদারো, হরপ্পা, চানহুদাড়ো-র মতো গুরুত্বপূর্ণ হরপ্পা নগরীগুলি পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত।
দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে ঢোলাভিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র তা বলার অবকাশ রাখে না। সেই মুকুটে ইউনেস্কোর থেকে পাওয়া এই সম্মান যে নতুন পালক যোগ করবে তা বলাই বাহুল্য। প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটে উৎসাহ প্রকাশ করে জানান, যাঁরা এই ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রত্নতত্ত্বে আগ্রহ রাখেন, তাদের এখানে অবশ্যই ঘুরে যাওয়া উচিত।
এই নিয়ে গুজরাটের চারটি অঞ্চল ইউনেস্কোর তরফ থেকে হেরিটেজ সম্মান পেল। এর আগে রানি কি ভাব, পাভাগড় এবং আহমেদাবাদ এই সম্মান পেয়েছে। এই বছর তেলেঙ্গানার রুদ্রেস্বর মন্দিরও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেয়েছে। আর মঙ্গলবার সেই তালিকায় সংযোজিত হল ব্রোঞ্জযুগের এই ঐতিহাসিক নগরী।