‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর’ সেই প্রবাদই যেন মিলে গেল ২০২১-এর কানোয়ার যাত্রায়। যতই উত্তরাখণ্ড সরকার নিষেধ জারি করুক বা উত্তরাখণ্ড পুলিশের ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন-এর হুঁশিয়ারি থাকুক, তীর্থযাত্রীর ঢল সেই নামলই উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে। যদিও বেশ কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশ সরকার কানোয়ার যাত্রায় সম্মতি দিয়েছিল, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ভরতশনায় সেই সিদ্ধান্ত বদলায় যোগী প্রশাসন। কিন্তু কানোয়ার যাত্রা বাতিল হওয়ার পরেও রবিবারে হরিদ্বারে দেখা মিলল অগণিত ভক্তের। পাশাপাশি এই দিন তাদের মধ্যে যথেষ্ট উৎশৃঙ্খলতাও লক্ষ করা যায়।
এদিন তীর্থযাত্রীদের আচরণ ছিল যেমন বেপরোয়া, তেমনই তাদের মধ্যে ছিল না করোনা বিধি মানার কোনও লক্ষন। এক ব্যক্তিকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁরা করোনাকেও ভয় পান না, কোয়ারান্টাইনকেও নন। তাঁদের কথায় সচেতনতার অভাব স্পষ্ট। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সারা দেশের ভক্তদের ঢল নামে উত্তরাখণ্ডে। হরিদ্বারের গঙ্গা থেকে পবিত্র জল সংগ্রহ করে, সেই জল শিবের মাথায় ঢালাই হল কানোয়ার যাত্রার উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, গত বছরেও করোনার বাড়াবাড়ির জন্য কানোয়ার যাত্রা স্থগিত করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। আবার এই বছরও ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের চোখরাঙ্গানিতে কার্যত নাজেহাল হয়েই কানোয়ার যাত্রা বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন দেশবাসীর কাছে হাতে হাত মিলিয়ে করোনার তৃতীয় ঢেউকে রুখে দেওয়ার আর্তি জানাচ্ছেন, ঠিক সেইসময় ধর্মের নামে এমন চরম বিশৃঙ্খলা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার ইঙ্গিত বহন করছে বলেই মনে করা হচ্ছে।