চেন্নাইয়ের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটের (Chennai's Institute of Mathematical Sciences) সীতাভ্র সিনহা (Sitabhra Sinha) নামক এক গবেষক জানুয়ারি পরবর্তী সময়কালের একটি কোভিড সূচক তৈরি করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কোভিড রেট (Covid Rate) ছিল ১.২৮, দ্বিতীয় সপ্তাহে তা নেমে হয় ১। আবার এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই সূচক ঘোরাফেরা করছিল ০.৯৩ র মধ্যে। কিন্তু গত কয়েকদিনে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। তার ফলে সূচক গিয়ে ঠেকেছে ১.০৭ য়ে। সান্যাল জানান, দিল্লি (Delhi), হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক কেস ধরা পড়ছে। মুম্বাইয়ে (Mumbai) এর মান রয়েছে ১-এর নীচে। কলকাতার অবশ্য কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে খবর।
সিনহার কথায়, "বর্তমানে ভারতে যে করোনার হার দেখা যাচ্ছে তা গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ মার্চের মধ্যে সূচক ছিল ১.০৮। ভারতে দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হওয়ার ঠিক আগে এটি মার্চ মাসে ১.৩৭ এ উঠেছিল। একুশ সালের ৯ এপ্রিল এই হার পৌঁছায় ১.১০। ৯ মে নাগাদ সূচক ০.৯০ এর মধ্যে প্রথমবার ১-এর নিচে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ওমিক্রন তরঙ্গের উচ্চতায় R এর সর্বোচ্চ মান এখন পর্যন্ত (ভারতের জন্য) ২.৯৮ (ডিসেম্বর ৩০,২০২১ থেকে ১০ জানুয়ারী, ২০২২) বেড়েছে। প্রথম তরঙ্গের শুরুতে এর সর্বোচ্চ মানের সাথে এই বছরের তুলনা করুন, ২.৫১ (মার্চ ১৪ থেকে এপ্রিল ৫, ২০২০)" তিনি জানান, করোনার হার কমে যাওয়ায় মানুষ যেভাবে দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে মাস্ক কানে ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। মানুষকে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পড়তে হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে মাস্ক না পড়লে ৫০০ টাকার জরিমানা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল কলেজ যাতে বন্ধ না করতে হয় তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে দিল্লি সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বুধবার জানানো হয়েছে, দিল্লিতে গত ২৪ ঘন্টায় ১,০০৯ টি নতুন কোভিড কেস ধরা পড়েছে। মারা গিয়েছেন ১ জন। তবে ৩১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদিকে, গতকাল গোটা দেশে একদিনে ২০৬৭ টি নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতের মোট COVID-19 মামলার সংখ্যা বেড়ে ৪,৩০,৪৭,৫৯৪ (৪.৩ কোটি) তে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশজুড়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১২,৩৪০।