সপ্তাহ দুয়েক ধরেই দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী। দৈনিক সংক্রমণ চার লক্ষ থেকে কমে বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১ লক্ষ ৩০ হাজারের কোঠায়। আগের চেয়ে বেশ খানিকটা কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। কাজেই পরিসংখ্যান দেখে মনে হচ্ছে, আয়ত্তে আনা গেছে দ্বিতীয় ঢেউকে। তবে এবারেও আগের বছরের পুনরাবৃত্তি। করোনার প্রথম ধাক্কার পরে সংক্রমণের গতি কিছুটা কমতেই সরকার ঘোষণা করে দিয়েছিল, ‘এই লড়াইয়ে আমরা সফল হয়েছি।’ এই নিয়েই বেশ কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল মোদী সরকারকে। একই ঘটনা ঘটল দ্বিতীয় ধাক্কার ক্ষেত্রেও।
দেশের দৈনিক সংক্রমণ যখন ১ লক্ষ ৩০ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে, তখনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ঘোষণা করে দিলেন, “করোনার (Coronavirus) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলিও হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে ধৈর্য ও পরিকল্পনার জোরে এই মহামারীর বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছে ভারত। অন্য দেশগুলিতে সরকার যেখানে একক ভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেখানে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৩৫ কোটি দেশবাসী লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন। সরকার একা এই লড়াইয়ে জিততে পারত না।"
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৬৪ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৫০ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৭১৩ জনের।
উল্লেখ্য, গতকাল গুজরাটে ন’টি অক্সিজেন প্লান্টের শিলান্যাস করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, "এই মুহূর্তে দেশের অক্সিজেনের চাহিদা ১০ হাজার টন থেকে কমে ৩৫০০ টনে নেমে এসেছে। এতেই প্রমাণ হয়, দেশে করোনার সংক্রমণ কমছে। কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এতেই বোঝা যায় দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসছে।”