আজ পঞ্চম দফায় নির্বাচন, এরই মাঝে বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনাক্রান্তের সংখ্যা ৬৯১০ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৮৫ জন। এদিন ৬৯১০ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৯৫ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৫০৬। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। আক্রান্তের হার কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনায় জেলায় উদ্বেগজনক। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ১৪৮৮০২। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮৯৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ২৮১৮ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ২৪২ জন। সুস্থতার রেট হয়েছে ৯১.৯৯ শতাংশ।
তবে এরই মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর, করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত। হ্যাঁ একদমই ঠিক, নতুন পরীক্ষায় এমনই ভয়াবহ রিপোর্ট মিলেছে। তবে এতদিন পর্যন্ত জানা গিয়েছিল, কোভিড-১৯-এর জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস বায়ুবাহিত নয়। কিন্তু পূর্বের সেই দাবি নস্যাৎ করে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হল আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস জীবাণু বায়ুবাহিত। শুক্রবার প্রকাশ পাওয়া দ্য ল্যানসেট জার্নালের সমীক্ষায় স্পষ্ট দেখানো হয়েছে, কীভাবে বাতাস বা হাওয়া বা বায়ুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ।
সূত্রের খবর, এই গবেষণায় আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডার ৬ গবেষক যুক্ত রয়েছেন। এই দলের প্রধান ট্রিশা গ্রিনহল জানিয়েছেন, এমন দাবির পিছনে অন্তত ১০টি কারণ রয়েছে। কাজেই, বিভিন্ন ধরনের পরিবেশে কোভিডের সংক্রমণ পরীক্ষা করে গবেষকদের সিদ্ধান্ত, করোনার জীবাণু ছড়ানোর জন্য শুধু বাতাসই যথেষ্ট। এই গবেষণায় দেখা মিলেছে, পাশের ঘরে কোভিড রোগী থাকলে, রোগীর সংস্পর্শে না এসেও রোগীর পাশের ঘরে থাকা ব্যক্তি করোনাক্রান্ত হচ্ছেন। আবার এও দেখা যাচ্ছে, পিপিইকিট পরেও করোনাক্রান্ত হচ্ছেন হাসপাতালের কর্মীরা। ভাইরাসটি শুধু জলকণার মাধ্যমে সংক্রমিত হলে, এমনটি হত না বলে দাবি গবেষকদের। বায়ুবাহিত বলেই এ সব ক্ষেত্রে সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
তবে এই রিপোর্ট এত দেরিতে কেন এল? এ বিষয়ে যুক্তি দিয়ে গবেষকদের তরফে বলা হয়েছে, "জীবাণু বায়ুবাহিত কি না, তা পরীক্ষা করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। প্রচুর পরিমাণে নমুনা পরীক্ষা করতে হয়। এত দিন পর্যাপ্ত নমুনা ছিল না বিজ্ঞানীদের হাতে। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।"