সারা ভারতে বর্তমানে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাস এর কেস। দিল্লি মুম্বাই থেকে শুরু করে কলকাতা সর্বত্র করোনাভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মিলছে দিন প্রতিদিন। প্রতিবারের মতো এবারও দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। রিপোর্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে এক ধাক্কায় ৪৯৬টি নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে। সেখানেই মুম্বাইয়ে এই সংখ্যাটা ১৩৭৭। গতকালের থেকে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
দিল্লিতে বর্তমানে করোনা পজিটিভিটি রেট ০.৮৯ শতাংশ দাঁড়িয়ে আছে। গত ৬ মাসের মধ্যে এটাই সবথেকে বেশি করোনা পজিটিভিটি হার। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার দিল্লিতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৫,১০০ এর গণ্ডি পার করেছে। অন্যদিকে, মুম্বাইয়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭৭ জন। গতকালের তুলনায় এই সংখ্যাটা বেড়েছে ৭০ শতাংশ। তবে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসের পুরনো ভেরিয়েন্ট না, সাথে সাথেই ভারতে ওমিক্রণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এখনো পর্যন্ত সারাদেশে দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি করোনা ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা মিলেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ১৪২ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে এই সংখ্যাটা ১৪১। ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মত শহরগুলিতে জারি করে দেওয়া হয়েছে হলুদ অ্যালার্ট। নতুন করোনা বিধি-নিষেধ জারি করা হচ্ছে এই দুটি শহরে। জনসমাবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা এবং নাইট কারফিউ শুরু করা হয়েছে সারা দিল্লিতে।
সেই একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও। গত ২৪ ঘন্টার রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন। কলকাতায় এক দিনেই ৩৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। অন্যান্য শহরগুলির থেকে সংখ্যায় কিছুটা কম হলেও কলকাতায় এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে একেবারে লাফিয়ে লাফিয়ে। গতকাল থেকে আজকে নিয়ে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় সবথেকে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির হদিশ মিলেছে। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে হাওড়া। খাদ্য দপ্তর এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস এর জন্য ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আবার হিসাবটা কিছুটা পাল্টে যায়। এখানে আবার তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। মঙ্গলবার ৩২,০১৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল যার মধ্যে ২.৩৫ শতাংশ মানুষ করোনা পজেটিভ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই সারা রাজ্যের ২০৩ টি হাসপাতালে করোনাভাইরাস এর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তবুও করোনাভাইরাস এর এই ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব হচ্ছে না কোনোভাবেই।