এনসিবি আধিকারিক সমির ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আরো একটি বড় অভিযোগ উঠল সম্প্রতি। জানা যাচ্ছে, এনসিবির ওই আধিকারিকের নামে মুম্বাইয়ের নভি মুম্বাই এলাকার ভাসি অঞ্চলে সরগুরু নামে একটি রেস্তোরাঁ এবং একটি পানশালা রয়েছে। এই খবরটি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আবারো শোরগোল শুরু হয়েছে এনসিবি আধিকারিককে নিয়ে। যদিও ওই যে পানশালা রয়েছে এবং যে রেস্তোরাঁ তার নামে রয়েছে সেটা নিয়ে কোনোরকম বেআইনি কিছু নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনি জানিয়েছেন, যখন তিনি কাজে যোগ দেননি সেই সময় তিনি ওই পানশালার এবং রেস্তোরাঁর লাইসেন্স নিজের নামে করেছিলেন। তারপর ২০০৬ সালে কাজে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই রেস্তোরাঁ এবং পানশালার সমস্ত পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি তিনি তার বাবার নামে করে দেন।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ওই পানশালার সমস্ত টাকা পয়সা যা আসে তা তার ইনকাম ট্যাক্স অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়াও তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এই পানশালায় এবং রেস্তোরাঁর ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন চাকরিতে যোগ দেবার আগেই। পানশালা লাইসেন্স তার কাছে থাকলেও পাওয়ার অফ এটর্নি তার বাবা। এছাড়াও আগামী ২০২২ এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওই লাইসেন্সের মেয়াদ রয়েছে বলে পাল্টা দাবি জানিয়েছেন এনসিবি আধিকারিক।
যদিও গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ খানের পত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করার পর থেকেই সমীরকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী নবাব মালিক দাবি করেছিলেন সমীর নাকি আসলে একজন মুসলিম এবং তার নামে দাউদ লেখা রয়েছে। তার প্রমান সাপেক্ষে তিনি প্রমাণ খাড়া করেছিলেন। চাকরি পেতে প্রান্তিক হিন্দু সেজে তিনি নিজের নতুন পরিচয় তৈরি করেছিলেন বলেও দাবি ওঠে। তার বিরুদ্ধে চর্চা শুরু হতে না হতেই তার বিরুদ্ধে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। যারা যায় আরিয়ান খানের গ্রেপ্তারের পর তাকে মুক্ত করার জন্য একটি বড়সড় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগের ভিত্তিতে তেমন কোন সঠিক প্রমাণ মেলেনি।