কোভিডের (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে সুপার স্প্রেডারের (Super Spreader) কাজ করেছিল বিভিন্ন সভা-সমিতির জমায়েত কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ ব্যাখ্যায় একথা জানানো হয়েছিল। নাম না করেও কুম্ভমেলার ধর্মীয় জমায়েত কোভিড সংক্রমণের বড় উৎস হিসেবে কাজ করেছে বলেছেন অধিকাংশ। সে দিক বিবেচনা করে এই রকম সভা-সমিতি কিংবা ধর্মীয় সমাবেশের উপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠে দেশ এখন কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের দোরগড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে বড় কোন জন সমাবেশ কিংবা ধর্মীয় যাত্রা কতটা যুক্তিযুক্ত, সে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।
কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে কানওয়ার যাত্রা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবারের মধ্যে সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে কানওয়ার যাত্রার সম্মতি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে আদালত কোন সিদ্ধান্তের কথা না জানিয়ে বরং সোমবার পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তাদের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এই শুনানির আগে পর্যন্ত যোগী সরকারকে ভাববার সময় দিয়েছে আদালত।
কানওয়ার যাত্রা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। উত্তরাখণ্ড সরকার এ বছর এই যাত্রার আয়োজন করছে না। অন্যদিকে প্রতি বছর এই যাত্রা উপলক্ষে হরিদ্বার থেকে শিবভক্ত পুণ্যার্থীরা গঙ্গাজল নিয়ে আসেন এবং নিজেদের এলাকায় শিবমন্দিরে উপসর্গ করেন। প্রতি বছর এই কানওয়ার যাত্রা উপলক্ষে কমপক্ষে ৩ কোটির বেশি পুণ্যার্থী হরিদ্বারে জড়ো হন। এখন এই কোভিড পরিস্থিতিতে এই যাত্রা যদি অব্যাহত থাকে, তা যে কতটা বিপজ্জনক সে কথা স্বীকার করেছেন সকলেই। তারপরও ধর্মীয় প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার এই যাত্রায় কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। এবার সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি সোমবার। সেখানে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় কী নির্দেশ দেন, সেদিকে তাকিয়ে সব মহল।