ভারতে (India) প্রধান বিচারপতি প্রথম এক মহিলা হতে চলেছেন। এই খবর নিয়ে গতকাল অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে চাপানউতোর চলছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে একের পর এক রিপোর্ট। আর তাতেই ক্ষুব্দ চিফ জাস্টিস অফ ইন্ডিয়া বা CJI এন ভি রামানা (N V Ramana)। তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তুলেছেন কি করে বিচারপতি নিয়োগের মত এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয় সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে? তিনি বলেছেন, "বিভিন্ন গণমাধ্যমে চলা জল্পনা এবং প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে আমি খুবই হতাশ। আপনারা সবাই জানেন আদালতে বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। প্রক্রিয়া চলছে। সর্বসম্মতিক্রমে আলোচনা করে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু এই নিয়োগের প্রক্রিয়া কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। এই বিষয় নিয়ে মিডিয়া বন্ধুদের আলোচনা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়। ব্যাপারটা সংবাদমাধ্যমকে অবশ্যই বুঝতে হবে।"
আসলে গত ১২ আগস্ট বিচারপতি নরিম্যানের প্রস্থানের পর শীর্ষ আদালতে মোট ৯ টি শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে। ওই জায়গাতে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ৯ জন বিচারপতির নামকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। সেখানে জায়গা পেয়েছেন কর্ণাটক হাইকোর্টের মহিলা বিচারপতি বিভি নাগরত্নাই। ইতিহাস বলছে ১৯৫০ সালে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হওয়ার পর থেকে এই প্রথম প্রধান বিচারপতির আসনে বসতে পারেন একজন মহিলা বিচারপতি। বিভি নাগরত্নাই ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন বিচারপতি হিমা কোহলি ও বেলা ত্রিবেদী। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যম একজনের নাম নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতেই ব্যাপক ক্ষেপেছেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা।