করোনার টিকা যারা স্বেচ্ছায় নিতে চান তাদেরকেই শুধুমাত্র ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এমনটা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে। তবে কোথায় গেলে, কিভাবে এবং কোন নথি জমা দিলে এই টিকা দেয়া হবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্নচিহ্ন দূর করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে কতগুলি সহজ প্রশ্ন-উত্তর ফরম্যাটে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র।
প্রঃ- করোনা টিকা কি বাধ্যতামূলক?
উঃ- না, বাধ্যতামূলক নয়। তবে যারা নিতে চায় তাদের আগে থেকেই অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। যদিও পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের করোনার সংক্রমণের থেকে রুখতে প্রত্যেককেই ভ্যাকসিনের পুরো ডোজ নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে ২৮ দিনের ব্যবধানে টিকার দু’টি ডোজ অবশ্যই নিতে হবে বলে দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
প্রঃ- কোথায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে?
উঃ- স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জবাব যাঁরা স্বেচ্ছায় টিকা নিয়ে চান, তাঁদের নিজের নাম এবং ফোটো-সহ পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।
প্রঃ- টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন কি বাধ্যতামূলক?
উঃ- হ্যাঁ, বাধ্যতামূলক।
প্রঃ- রেজিস্ট্রেশনের কী কী নথিপত্র জমা দিতে হবে?
উঃ- ড্রাইভিং লাইসেন্স, মনরেগা-র জব কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের পাসবই, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার আইডি কার্ড অথবা ভোটার কার্ড— এর যে কোনও একটি জমা করলেই চলবে।
প্রঃ- রেজিস্ট্রেশনের পর কোথায় টিকাকরণ হবে, তা কী ভাবে জানা যাবে?
উঃ- ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নথিভুক্ত করা মোবাইল নাম্বারে টিকাকরণের দিনক্ষণ ও স্থান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
প্রঃ- যাঁরা এই মুহূর্তে করোনা বা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত, তাঁরাও কি টিকা নিতে পারবেন?
উঃ- ক্যানসার বা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত বা যাঁরা সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদেরও টিকাকরণে অংশ নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে যাঁরা এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত বা সংক্রমিত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের সরাসরি টিকাকরণ কেন্দ্রে আসতে নিষেধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কারণ তাতে ওই কেন্দ্রে উপস্থিত অন্যদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়তে পারে এবং এটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওই ব্যক্তিদের অন্তত ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত।
প্রঃ- টিকাকরণের প্রাথমিক পর্বে কারা টিকা পাওয়ার যোগ্য ?
উঃ- প্রাথমিক পর্বে করোনা-যুদ্ধে শামিল ফ্রন্টলাইন কর্মী বা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী যেমন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, কোমর্বিড বা পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিরাই যে অগ্রাধিকার পাবেন তা তাঁদের রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বরে টিকাকরণের তথ্যে জানানো হবে।
প্রঃ- কোভিড টিকা কতটা সুরক্ষিত?
উঃ- দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছেন যে ভারতে তৈরি কোভিড টিকার গুণগত মান নিয়ে কোনও ধরনের সমঝোতা করা হবে না। পৃথিবীর বাকি দেশগুলির মতোই এ দেশে তৈরি কোভিড টিকাও পুরোপুরি সুরক্ষিত। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পরই তা বাজারে ছাড়া হবে।
প্রঃ- টিকা নেওয়ার পর কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?
উঃ- সুরক্ষা নিশ্চিত করে তবেই বাজারে ছাড়ার অনুমতি পাবে এই টিকা, তবে অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতোই এই টিকা নেবার পর সামান্য ব্যথা ও জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।