ওষুধের লাগাম ছাড়া দামবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস অবস্থা আমজনতার। অথচ প্রতিটি পরিবারে রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিত্য ব্যবহার্য এমন ৪৫ টি ওষুধের দাম বেঁধে দিল কেন্দ্র সরকার। এই ওষুধগুলি নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রি করতে হবে বলে এমন কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সুগার, গ্যাস-অম্বল, পেটের রোগ, অ্যান্টিবায়োটিক, চোখের ড্রপ, হার্টের ওষুধ-সহ একাধিক ওষুধের দাম বেঁধে দিল সরকার।
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথরিটি একটি নির্দেশিকায় এমন কথা জানিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ওষুধ দোকানদারদের সংগঠন। তাদের সাফ জবাব, সরকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। সাধারণ পরিবারে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধগুলো রোজ ব্যবহার হয়। দাম বেঁধে দিলে সাধারণ মানুষের আর্থিক সাশ্রয় তো হবেই।
অন্যদিকে, আর একটি পক্ষের যুক্তি সরকারের এই পদক্ষেপ 'লোক দেখানো'। যে ওষুধগুলোর দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ডাক্তার আর 'প্রেসক্রাইব' করেন না। এগুলোর বাজারে চল নেই বললে চলে। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ একাংশ। এই ৪৫ টি ওষুধের মধ্যে জ্বর এবং গা ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল গোত্রের দাম কমানো হয়েছে। গ্যাস-অম্বল, বমি ভাব, হজমের জন্য অত্যন্ত পরিচিত চারটি ওষুধ প্যান্টোপ্রাজোল, ওমিপ্রাজোল, ডমপেরিডন ও ইসোমেপ্রাজোলের দামও কোম্পানি ভেদে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
কিছু জীবনদায়ী ওষুধের দামও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক গোত্রের ওষুধের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জীবনদায়ী ও বহুমূল্য ফ্যাক্টর ৮-এর প্রতি প্যাকেটের দাম ১১ হাজার ৬০৬ টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ যে উপকৃত হবেন, বলাই বাহুল্য।