গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী ছিল পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য। বেশিরভাগ রাজ্যে প্রতি লিটার পেট্রোলের মূল্য সেঞ্চুরি ছাড়াতেই দেশবাসীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা গিয়েছিল। তবে দীপাবলির দিন মোদি সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা করে মূল্য হ্রাস করেছিল। তারপর সম্প্রতি জানা গিয়েছে আবারও দাম কমবে পেট্রোল এবং ডিজেলের। আসলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কেন্দ্র পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ থেকে ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর কেন্দ্র সরকারের এমন সিদ্ধান্তে তেলের দাম কমলে যে গোটা দেশবাসী খুশি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার ক্রমবর্ধমান পেট্রোল ও ডিজেলের দামের কথা মাথায় রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রধান এনার্জি গ্রাহকদের সাথে বৈঠক করে। সেই বৈঠকের পরই আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দেশের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, "কেন্দ্র আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছাড়বে। আর সেই কারণে অনেকটাই দাম কমে যাবে পেট্রোল ও ডিজেলের।" এছাড়া পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে, "তরল হাইড্রোকার্বনের দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়া উচিত। ভারত বারবার তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর দ্বারা কৃত্রিমভাবে চাহিদার ফাঁদে পড়ছে। বিষয়টি বেশ উদ্বেগের বটে।"
কিছুদিন আগেই জাপান, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অপরিশোধিত তেলের স্টক খালি করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়াও জাপানকে তেলেটক খালি করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আসলে এখন এই প্যানডেমিকের মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস প্রধান লক্ষ্য গোটা বিশ্বের কাছেই। ভারত পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ থেকে ৫ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে যে বিশ্বব্যাপী পেট্রোপণ্যের দাম কমবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বলে রাখা ভালো, ভারতে প্রায় ২৬.৫ মিলিয়ন ব্যারেল অর্থাৎ ২ কোটি ৬৫ লাখ ব্যারেল তেল মজুত রয়েছে।