২০২২ এর জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে চলেছে সিঙ্গেল উইজ প্লাস্টিকের ব্যবহার। যে সমস্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করে মাত্র একবার ব্যবহার করার কোনো জিনিস বানানো যায় সেই সব প্লাস্টিক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এর কারণ অবশ্য জড়িয়ে আছে ভারতের দূষণের উপরে। এই ধরনের প্লাস্টিক আদতে পরিবেশের জন্য খুবই খারাপ। তার কারণ, এই ধরনের প্লাস্টিক কে সহজে নষ্ট করা যায়না। তাই এই প্লাস্টিক অনেকদিন পর্যন্ত পরিবেশে থাকতে পারে এবং পরিবেশের দূষণ ঘটাতে পারে।
অন্যদিকে, এই ধরনের প্লাস্টিক খুব সহজে আপনি পুড়িয়ে ফেলতে পারবেন না। এই ধরনের প্লাস্টিক অত্যন্ত বেশি খারাপ হয়ে ওঠে যদি সেটাকে পোড়ানো হয়। তাই এই ধরনের প্লাস্টিক না ব্যবহার করাটাই শ্রেয় বলেই মনে করেছেন ভারতের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এবং ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করে ইতিমধ্যেই এই মর্মে একটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি, ৫০ মাইক্রণের পরিবর্তে ১২০ মাইক্রন মাত্রার প্লাস্টিক ব্যবহার করাটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত। অর্থাৎ এই ১২০ মাইক্রনের নিচে এবার থেকে আর কোনো প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবেনা।
মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হতে চলেছে। কাপ-প্লেট, কাঁটা-চামচ, মিষ্টি বা সিগারেটের প্যাকেট ঘেরা অংশ-সহ পলিস্টাইরিন, এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টাইরিনের আমদানি, মজুত, বিতরণ, বিক্রয় ও ব্যবহার— সমস্তই নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারত সরকারের দ্বারা। ভারতে এই সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহারকে বন্ধ করাই এই নির্দেশিকার আসল বিষয়। ৫০ মাইক্রন থেকে ১২০ মাইক্রন ঘনত্বের যদি প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেটা পরিবেশের কম ক্ষতি করে থাকে। ভারতের পরিবেশ মন্ত্রক, এর আগে একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশ জুড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রই হয় না। ওই বর্জ্য পুড়িয়ে তা নষ্ট করতে গেলেও তাতে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ে। আবার প্লাস্টিক বর্জ্য জমেও তা পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি করছে। এমনকি, নদী বা সমুদ্র দূষণ বা নিকাশি ব্যবস্থা বুজিয়ে দেওয়ার পিছনেও রয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য।