বিহারের (Bihar) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) আমলে ঘটা একটি পুরনো নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে নতুন করে তৎপর হয়ে উঠল সিবিআই। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের বর্ষীয়ান নেতা আশফাক করিম এবং সুনীল সিংকে বিহারের কুখ্যাত নিয়োগ দুর্নীতি ল্যান্ড ফর জবস, (বাংলায় চাকরির জন্য জমি দান) মামলায় জড়িত হিসেবে সন্দেহের তালিকার শীর্ষে রেখেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই এই মামলা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই এর একটি বিশেষ দল। বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত চালাতে শুরু করেছে সিবিআইয়ের এই দলটি। এই দুইজন বিজেপি নেতার বাড়িতে এবং তারা পৌঁছতে পারেন এমন বেশ কিছু জায়গায় তদন্ত চালাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।
সিবিআইয়ের এই তৎপরতা প্রসঙ্গে আরজেডি নেতা সুনীল সিং বলছেন, "এটা সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা। বিহারের উন্নয়নকে আটকে দিয়ে অন্যদের ভীতি প্রদান করা হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এটার কোন মানে নেই। শুধুমাত্র তারা নিজেরা ভয় পেয়ে গিয়েছেন বলে অন্যদের সিবিআই বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলগুলিকে দিয়ে ভয় দেখানো শুরু করেছেন। আসলে এখন বিজেপি বিহারে অত্যন্ত বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। তাই যে কোনভাবেই হোক অন্য দলের নেতাকে ভুল মামলায় ফাঁসিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপির এই প্রচেষ্টা কোনদিন সফল হবে না। আমাদের বিধায়করা আমাদের পাশে থাকবেন।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজকেই বিহারের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ফ্লোর টেস্ট হওয়ার কথা। আর আজকেই এই মামলা নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই খানাতল্লাশি করার ঘটনাগুলি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দল আরএস-এর বিধায়ক মনোজ ঝা বলছেন, "আসলে এই তদন্ত অভিযানগুলো ইডি, ইনকাম ট্যাক্স বা সিবিআই চালাচ্ছেনা। আসলে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এই তদন্ত অভিযানগুলো চালাচ্ছে বিজেপি। আসলে এই সমস্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন বিজেপির বি-টিম বা সি-টিম হয়ে কাজ করছে। তাদের তদন্ত অভিযানের সমস্ত স্ক্রিপ্ট এখন লেখা হয়ে থাকে বিজেপির সদর দপ্তর থেকে। তাই, আমাদের বিরুদ্ধে কোন কোন তদন্ত কিভাবে কিভাবে করা হবে এটা আগে থেকেই আমরা বুঝতে পেরে যাই।"