লোকসভার বাদল অধিবেশন এর আগে আরো একবার মহিলা সংরক্ষণ বিল কার্যকর করা নিয়ে আওয়াজ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। দীর্ঘ বহুদিন ধরে লোকসভায় এই মহিলা সংরক্ষণ বিল আটকে পড়ে রয়েছে। এই মহিলা সংরক্ষণ বিল এর মূল বিষয়টি হলো লোকসভা এবং বিধানসভার এক তৃতীয়াংশ আসন যেন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়। এই দাবি নিয়ে গত ২০০৮ সালে ইউপিএ সরকারের সময় রাজ্যসভায় এই মহিলা সংরক্ষণ বিল উত্থাপন করা হয়েছিল। ২০১০ সালে এই বিল রাজ্য সভায় পাস হয় এবং তারপরে এটিকে লোকসভায় পাস করানোর জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু পঞ্চদশ লোকসভায় এই বিল ল্যাপস করে যায়।
তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছেন, " আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করানো প্রয়োজন। এই বিজেপি সরকার ২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা সময় এই বিল পাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই বিল কার্যকর করা হয়নি। আমরা চাইছি যত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করানো হয় লোকসভায়।" ডেরেক ও'ব্রায়েন আরো জানাচ্ছেন, লোকসভায় তৃণমূলের ৪১ শতাংশ সাংসদ মহিলা এবং রাজ্যসভায় এই সংখ্যাটা ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে বিজেপির লোকসভায় মাত্র ১৪ শতাংশ সাংসদ মহিলা এবং রাজ্যসভায় এই সংখ্যাটা মাত্র ১১শতাংশ। সর্ব মোট হিসাব করলে লোকসভায় মাত্র ১৪ শতাংশ সাংসদ মহিলা। তাই আমাদের এই মুহূর্তেই মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আসা উচিত, যাতে মহিলারা সংসদীয় ক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে।" এছাড়াও ডেরেক ও'ব্রায়েন জানিয়ে দিয়েছেন শুধু এই ইস্যু নয়, আরো একাধিক ইস্যুতে এইবারের বাদল অধিবেশনে তৃণমূল সুর চড়াবে বিজেপির বিরুদ্ধে।
মহিলা সাংসদদের কেন প্রয়োজন?
বর্তমানে মোদি মন্ত্রিসভায় ১১ জন মহিলা মন্ত্রী রয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণরূপে একটি নির্বাচনী ভাওতাবাজি এবং গিমিক হিসেবে দাবি করছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি জানাচ্ছেন, এতে কোনো পরিবর্তন তেমন কিছু হবে না। মোদির মন্ত্রিসভা মানে শেষ কথা মোদি। কিন্তু যদি আমাদের সত্যিকারে কোন পরিবর্তন করতে হয় তাহলে আমাদের সংসদের দুটি হাউসে যথেষ্ট পরিমাণ মহিলা সাংসদকে যুক্ত করতে হবে।