মাধ্যমিকে প্রথম! মিলছে শুভেচ্ছা। ফলপ্রকাশের আগেই বাড়িতে মিডিয়ার ভিড়। মুহুর্তের মধ্যেই রাজ্যের ঘরে ঘরে কৃতী পড়ুয়ার নাম। বাবা-মায়ের চোখে আনন্দের জল। তবে ওই সময় হয়তো অনেকের স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে, মাধ্যমিকে কম নম্বর পেয়ে। আর্থিক সহায়তা না থাকায় হয়তো অনেকেই ফেল। পরিসংখ্যান বলছে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকার ফলে বহু পরীক্ষার্থী কম নম্বর পায়। এরপরেই সংসার চালাতে ছাড়তে হয় পড়াশোনা। অনেকেই আবার মানসিক অবসাদগ্রস্তও হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের খেয়াল রাখে না কেউ।
তবে এবার কিছুটা অন্যরকম। মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের দেওয়া হবে বিরিয়ানি। বিনামূল্যে থাকতে দেওয়া হবে হোটেলে। এমনই ঘটনা ঘটল কেরালায়।
এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রের খবর, কোঝিকোড়ের এক ব্যবসায়ী নিজের রিসর্টে মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের থাকতে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তিনি জানান, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর, উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা আনন্দের শেষ থাকে না। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের মানসিক অবস্থা খারাপ থাকে। তাই তামিলনাড়ুর পর্যটনকেন্দ্র কোড়াইকানালে নিজের রিসর্টে ওই পড়ুয়াদের বিনামূল্যে থাকার পরিকল্পনা করেন তিনি। আর এই উদ্যোগেই এগিয়ে এসেছেন আরও অনেকেই। কোচির কাছে মুলানথুরুথির একটি দোকানের মালিক অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের বিনামূল্যে বিরিয়ানি দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, কেরালার ৪.১৯ লাখ পড়ুয়া দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করেছে। অনুত্তীর্ণ হয়েছে ২,২৩৬ জন (০.৫৩ শতাংশ)। একেবারে সহজ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া হওয়া সত্ত্বেও কেন তারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তা বিশ্লেষণ করে দেখার দাবি তুলেছেন অনেকেই। তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর দাবি, অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের অধিকাংশই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে। তারা 'লার্নিং ডিসঅর্ডারে' ভুগছে।