পুরোনো সংসদ ভবনকে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে রেখে তারই পাশে ৬৪,৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৯৭১ কোটি ব্যয় করে গড়ে উঠবে নয়া ত্রিভূজাকার সংসদ ভবন যার শিলান্যাস ও ভূমিপুজো দুই-ই হবে আগামী ১০ই ডিসেম্বর বেলা ১ টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে।
স্পিকারের মতে আগামীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা ভেবে নতুন এই ভবনে লোকসভায় ৮৮৮ (এখন ৫৪৩) ও রাজ্যসভায় ৩৮৪(এখন ২৪৫) জনের বসার ব্যবস্থা থাকবে । থাকবে কনস্টিটিউশন হল ও শব্দ-বায়ুদূষণ নিরোধক ব্যবস্থাও। যদিও এই করোনাকালে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে সংসদ ভবন নির্মাণকে মোটেই সমর্থন করেনি বিরোধীরা, তবে বিড়লার মতে এর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১১,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ব্রিটিশের তৈরি নয়, দেশের মানুষের হাতে তৈরী দেশের সংসদ, ভারতের কাছে এ অনেক গর্বের বিষয়; এমনই মত স্পিকারের। আগামী ২০২২ এ ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পূর্তিতে নতুন ভবনে প্রথম লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন বসবে।