আজ থেকে শুরু করে পরপর আরও তিনদিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থার প্রতিবাদ চলবে কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে। আন্দোলনমুখী কর্মসূচির প্রথম ধাপ হিসেবে আজ ও আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলোর তত্ত্বাবধানে চলবে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। পরদিন, বুধবার সাধারণ বিমা শিল্প ও বৃহস্পতিবার এলআইসি বা জীবন বিমা নিগমের কর্মী ও অফিসাররা বিক্ষোভ ধর্মঘটে সামিল হবেন। এখন বিক্ষিপ্তভাবে ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থাগুলি আন্দোলনমুখী হলেও কাজ না হলে আগামীতে যৌথভাবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তারা। আর্থিক ক্ষেত্র বাদেও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রতিবাদেও একজোট হয়েছে সকলে। এই ব্যাঙ্ক ও বিমা ধর্মঘটকে সাফল্যমন্ডিত করতে যোগ দিতে ইচ্ছুক ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ।
সিটু এবং ইউটিইউসি-র পক্ষ থেকে স্পষ্টই জানানো হয়েছে, কেন্দ্র এই চার দিনের ধর্মঘটকে মান্যতা না দিলে জোট করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তারা। ধর্মঘটীরা নিজেদের চাকরির ব্যপারে সন্দিহান তাই আন্দোলন করছেন, এমনটা মোটেও নয়, বরং গ্রাহকদের স্বার্থও আর সুরক্ষিত থাকবেনা, এটাও মাথায় রেখে এই ধর্মঘট। প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়েও সরব হয়েছেন তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা হিসেবে যে এলআইসি যে ভরসাদায়ক স্থান নিয়েছিল জনমনে, বিলগ্নিকরণের পরেও তা অটূট থাকবে তো? উঠেছে প্রশ্ন।