আসামের (Assam) বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। কয়েকটি জেলায় কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও জলের তলায় অসংখ্য জেলা। গত ২৪ ঘন্টায় দু'জন শিশু-সহ ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০৭। এরমধ্যে ভূমিধসে মারা গিয়েছেন ১৭ জন। কাছাড়, ধুবরি, বাজলি, তামূলপুর জেলার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। ৪,৫৩৬ টির বেশি গ্রাম এখনও জলের তলায়।সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বড়পেটা জেলা। সাড়ে দশ লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহীন।
গোটা রাজ্যের ৩০ জেলার ৪৫ লক্ষের বেশি মানুষ বন্যা-দুর্গত। তবে কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ৭৫৯ টি ত্রাণ কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র, ডিসাং, কপিলির জল বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত। ধুবরি, শিবসাগর, নগাঁও জেলার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এমন পরিস্থিতিতে ত্রাণ কেন্দ্রগুলিতে শিশুদের প্রাক্-প্রাথমিক কার্যকলাপ চালু রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) গোটা বিষয়টির খোঁজ রেখেছেন। কেন্দ্রের তরফে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার কার্যে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নেমেছে সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "বন্যা কবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী ও এনডিআরএফের দল রয়েছে। তাঁরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করছে। উদ্ধার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিমান বাহিনী ২৫০ টিরও বেশি উড়োজাহাজ পরিচালনা করছে।"
বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, "গত কয়েকদিন ধরে আসামের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আসামের পরিস্থিতি ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।"
এর মধ্যেই আসাম ও মেঘালয়ের বন্যা ও ধস নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা পাঠালেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তিনি লিখেছেন, "অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ধসের কারণে মেঘালয় ও আসামের যে ক্ষতি হয়েছে, যত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, মানুষ গৃহহীন হয়েছেন, তার জন্য জাপান সরকার ও জাপানের মানুষের তরফে আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছি। জাপান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির জন্য সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়াবে।"