দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বাসভবনে একদল দুষ্কৃতীর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। এখনও পর্যন্ত কয়েক জনের বিরুদ্ধে 'লুক আউট' নোটিশ জারি করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? বুধবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, গোটা ঘটনার সঙ্গে বিজেপির (BJP) সক্রিয় যোগাযোগ আছে। বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যর (Tejasvi Surya) নেতৃত্বে একদল বিজেপি কর্মী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়। তারপর একের পর এক হামলা চলতে থাকে। ভেঙে ফেলা হয় সিসিটিভি। বাড়ির মূল ফটক ধরে ঝাঁকাতে দেখা যায় অনেককেই। ঘটনায় দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia) বলেছেন, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণ যেতে পারত।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনের উপর এমন আচমকা আক্রমণের কারণ কী? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, গত কয়েকদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বারবার 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' (The Kashmir Files) ছবিটি নিয়ে মুখ খুলেছেন। কিংবা অতীতে রামমন্দির নিয়েও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কটাক্ষ শোনা গেছে। সব মিলিয়ে বিজেপির এই আক্রমণের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজধানীর বুকে একজন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এমন অতর্কিত হামলার ঘটনা নজিরবিহীন।
বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য বলেছেন, "কাশ্মীরের হিন্দুদের গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপহাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে বিজেপি যুব মোর্চা। কেজরিওয়ালের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি করছে বিজেপি যুব মোর্চা। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত যুব মোর্চার বিক্ষোভ চলবে। রাম মন্দির নিয়ে ঠাট্টা, হিন্দু দেবতাদের নিয়ে ঠাট্টা করা, বাটলা হাউসকে প্রশ্ন করা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তোলা আম আদমি পার্টির নীতি। এভাবে সবকিছু মেনে নেওয়া যায় না।"