এ কেমন নির্দেশ! দীর্ঘ পাঁচ বছরের এমবিবিএস পড়া শেষ হলে ইন্টার্নশীপ চলাকালীন ইন্টার্নদের বিষয় হিসেবে পড়তে হবে যোগা, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা, ইউনানি, সোয়া রিগপা এর মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় যা তারা নিজেরাই নির্বাচন করবে। ওই বিষয়ের ওপর সাত দিন প্র্যাকটিস করতে হবে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিল। আর এই নির্দেশিকা ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। নয়া এই নির্দেশিকা একেবারেই না-পসন্দ চিকিৎসকদের।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের পক্ষ থেকে অনেকেই সরব হয়েছেন এর বিপক্ষে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এভাবে এক প্রকার মিশ্র চিকিৎসা ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে আখেরে হয়রানি বাড়বে সাধারণ মানুষের। এমবিবিএসের পর এই আয়ুর্বেদ-হোমিওপ্যাথির প্র্যাকটিস কার্যত মধ্যযুগীয় চিন্তাধারার ফসল ছাড়া আর কিছুই না কারণ এসবের কোনো বিজ্ঞানসম্মত ব্যখ্যা নেই, কটাক্ষ করেন ডব্লিউবিডিএফ এর চিকিৎসকরা। ড. চাকী আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল গঠনের সময়েই আপত্তি জানান তারা।
চিকিৎসা ব্যবস্থা যখন আধুনিকীকরণের পথে, সেখানে এই প্রকার নির্দেশ দেওয়ার অর্থ আধুনিকতার গতি রুদ্ধ করা, বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারাও। তাই এইসব না করে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাতে আরো বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে হবে, মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়াতে হবে, এগুলিই প্রধান দাবিদাওয়া চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের।