ফের প্রকাশ্যে চিনা সেনার ঔদ্ধত্য। অরুণাচল প্রদেশের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে ১৭ বছরের এক নাবালককে অপহরণের অভিযোগ উঠল। স্থানীয় এলাকার খোদ বিজেপির সাংসদ তাপির গাও (Tapir Gao) এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। বুধবার এক টুইট বার্তায় তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে গোটা বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুরোধ করেছেন।
সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চিন সীমান্তের লুংটা জোড় এলাকায় বছর ১৭-র এক নাবালক মীরম তারণ (Miram Taron) একজন বন্ধুর সঙ্গে জঙ্গলে শিকার করতে গিয়েছিল। আর তখনই চিনা সেনা তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ। মীরম তারণের বন্ধু কোনমতে চিনা সেনার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে ফিরে এসেছে। আর ফিরে এসে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন বলে খবর। আর তারপরেই গতকাল রাতে স্থানীয় বিজেপির সাংসদ তাপির গাও পরপর কয়েকটি টুইট করেন। তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে গোটা বিষয়টির তদন্তের অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২০ সালে অরুণাচল প্রদেশের সুবনসিরি এলাকা থেকে পাঁচ ভারতীয় যুবককে অপহরণ করেছিল চিনা লাল ফৌজ। যদিও ভারত সরকারের কাছে পরে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। ফের এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গত কয়েক বছরে চিনা সেনার দৌরাত্ম্য ক্রমশ বাড়ছে। কখনও প্যাংগং লেকে সেতু তৈরি, আবার কখনও অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় রাস্তা তৈরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এবার ১৭ বছরের এক নাবালক অপহরণের অভিযোগের ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে একজন ১৭ বছরের নাবালককে অপহরণ করল চিনা সেনা। আমরা মীরম তারণের পরিবারের পাশে আছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্লজ্জ নীরবতা প্রমাণ করে তিনি বিষয়টি নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন।"