গত মাসের শেষেই ভারতে এসেছিল নতুন করে আরও তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান। এমনকি ফরাসি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা দাসোঁ-এর চুক্তি অনুযায়ী ১৮টি যুদ্ধবিমান এ মাসের শেষ লগ্নের মধ্যেই ভারতে চলে আসবে। ইতিমধ্যেই ১১টি রাফাল যুদ্ধবিমান বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, যা প্রসঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছিল, "রাফাল একটি ৪.৫ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান৷ যার মধ্যে সমস্ত অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র রয়েছে৷ ফ্রান্সের সঙ্গে ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে ভারত৷ এর বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতকে দেবে ফ্রান্স।"
তবে এর মাঝেই ফের বির্তক রাফালকে ঘিরে, সামনে এল রাফাল কাণ্ডে ঘুষের তত্ত্ব। যদিও এর আগেও রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনেকে। তবে তাতে মেলেনি সুরাহা। বরং সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্লিনচিট দেয়। তবে এবার ফরাসি সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হল, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য এক মধ্যস্থতাকারীকে এক মিলিয়ন ইউরো (৯ কোটির কাছাকাছি) ঘুষ দিয়েছিল বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা দাসোঁ অ্যাভিয়েশন। যদিও এটি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
ফ্রান্সের এক অনলাইন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কেন এই ‘উপহার’, তার কোনও সন্তোষজনক জবাব আর্থিক তদন্তকারীদের দিতে পারেনি দাঁসো। এরপর ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রেই খবর মেলে, উপহারের কথা ২০১৮ সালের অক্টোবরেই জেনেছিল ফ্রান্সের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যাপারে দাঁসো-র কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা জানায়, "ওই অর্থ তাদের ভারতীয় সাব কন্ট্রাক্টরকে দেওয়া হয়েছে রাফাল বিমানের ৫০টি নমুনা তৈরি করার জন্য।" তবে এমন অজুহাত দিয়েও ৫০টি নমুনা দেখাতে পারেনি দাঁসো। এদিকে সেই নমুনা আদৌ তৈরি হয়েছে কি না, তার খবরই নেই সংস্থার কাছে।
প্রসঙ্গত, রাফাল চুক্তি অনুযায়ী দাঁসোর সঙ্গে ৩৬টি যুদ্ধবিমানের চুক্তি হয় ভারতের। ২০২২ সালের মধ্যে ওই বিমান সরবরাহ করার কথা দাঁসো-র। যা নিয়ে কেন্দ্রে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। কারণ রাফাল চুক্তির অব্যবহিত পরেই যুদ্ধবিমানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির বরাত পায় আম্বানি সংস্থা রিলায়্যান্স।