এবার করোনা-কাঁটায় বিদ্ধ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Election)। এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court) এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানাল, অন্তত এক বা দুই মাসের জন্য অন্তত বিধানসভা নির্বাচন স্থগিত রাখার। কেবল নির্বাচন কমিশন নয়, হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়েছে নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন সভা-সমিতি, বড় ধরণের জমায়েত বন্ধ রাখা হোক। এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ কোভিড পরিস্থিতিতে এমন বড় ধরণের জমায়েত সমীচীন নয়। "সভা-সমিতি বন্ধ না থাকলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের চেয়েও মারাত্মক আকার ধারণ করবে কোভিড পরিস্থিতি", বিচারপতি শেখর যাদব এমন মন্তব্য করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'জীবন থাকলেই তো পৃথিবী থাকবে।'
ওমিক্রনের হাত ধরে দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন একাংশ। যদিও দেশে এই মুহূর্তে ওমিক্রন ততটা প্রভাব বিস্তার করেনি, কিন্তু ছড়াতে কতক্ষণ। "নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেভাবে রোজ মানুষের জমায়েত বাড়ছে, এ বড় আশঙ্কার" এদিন কোর্ট একথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আদালত জানায় কীভাবে নির্বাচনের পর করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল। বিচারপতি উল্লেখ করেন, কোভিড বিধি মেনে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার করা কার্যত 'অসম্ভব'। এমন অবস্থায় নির্বাচন কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল আদালত।
বিচারপতি শেখর যাদব উল্লেখ করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা, জমায়েত দূরত্ববিধি মেনে কার্যত অসম্ভব। সেক্ষেত্রে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রচার চালানো যেতেই পারে। উত্তরপ্রদেশে এমনিতেই বিধানসভা ও লোকসভার আসন সংখ্যা অনেক বেশি। অনেক বড় রাজ্যের পরিধি। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে কোভিড বিধি মেনে জমায়েত প্রচার সমস্ত, এমন প্রশ্ন তুলেছে আদালত। আদালত আরও উল্লেখ করে, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ শাসক ও বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা যে সভা কিংবা নির্বাচনী প্রচারের কাজ করছেন, তাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন আরও মাস কয়েক পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী এলাহাবাদ হাইকোর্ট।