৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। একে একে স্মরণ করলেন মহাত্মা গান্ধী থেকে আম্বেদকর পর্যন্ত। শোনালেন নেহেরু এবং প্যাটেলের কৃতিত্বের কথা। আজ প্রধানমন্ত্রী ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে আগামী ২৫ বছরের দেশের সার্বিক বিকাশের রূপরেখা তৈরি করে দিলেন। নিজেই জানালেন, আগামী দিন দেশের কাছে 'অমৃতকাল'। সবকা সাথ, সবকা বিকাশের সঙ্গে এদিন জুড়ে দিলেন সবকা বিশ্বাস সবকা প্রয়াস। ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার ১০০ বছরে এদেশ 'জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে' তারই আত্মপ্রত্যয় দেখা গেল শ্রীমোদীর ভাষণে।
এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, "১০০ শতাংশ গ্রামে রাস্তা তৈরি হয়েছে। সব মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা, উজ্জ্বলার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সবার কাছে সুযোগ সুবিধা পৌঁছে যাক। এর জন্য সময়সীমা দীর্ঘ করা যাবে না। কয়েক বছরের মধ্যেই এই স্বপ্ন সত্যি করতে হবে।" এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরেন। পাশাপাশি ২০১৪ থেকে ২০২১ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, "আমি খুশি জল জীবন শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই সাড়ে সাত কোটি মানুষের ঘরে জল পৌঁছে যাচ্ছে। এই ১০০ শতাংশ টার্গেটের একটাই সুবিধা হল, এতে কেউ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। দেশের প্রত্যেক নাগরিক যদি এই সুবিধা পায়, তাহলে কোনও বিভাজন, কোনও দুর্নীতির সুযোগই থাকে না। এবার থেকে গরিবদের কাছে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল পৌঁছে দেওয়া হবে।"
উল্লেখ্য, এদিনের ভাষণে তিনি সমস্ত নাগরিকের অংশগ্রহণের কথা বলেছেন। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণ ছাড়া যে দেশের সার্বিক বিকাশ সম্ভব নয়, একথাও তিনি বলেন। আগামী ২৫ বছর দেশের কাছে অমৃতকাল। তাই এই ২৫ বছরে দেশ এমন এক উচ্চতায় পৌঁছাবে যার জন্য বিশ্বের কাছে ভারতবর্ষের গৌরব বৃদ্ধি পাবে। হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত দেশে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, পর্যটন সবক্ষেত্রেই দেশ আজ আত্মনির্ভরশীল। মোদী বলেন, মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপযাপনে আগামী ৭৫ সপ্তাহে ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন দেশের প্রতিটি কোণকে জুড়ে দেবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন বিমানবন্দরও।
প্রধানমন্ত্রীর এদিনের ভাষণে অলিম্পিক্সে দেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা উঠে এসেছে। বিশেষ করে অলিম্পিক্সে মেয়েদের কৃতিত্বের কথা তিনি বারবার তুলে ধরেন। দেশের সমস্ত সৈনিক স্কুলগুলির দরজা মেয়েদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।