স্বামীর অনুপস্থিতিতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন গৃহবধূ। তারই শাস্তি হিসাবে প্রেমিকের সাথে নগ্ন করে সারা গ্রামে ঘোরানো হল তাঁকে। ঘটনার কেন্দ্রস্থল ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার বড়তলি পঞ্চায়েতের এক গ্রাম। ঘটনায় জড়িত ৫০ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, আক্রান্ত গৃহবধূটি গ্রামে দৈনিক শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর স্বামী বিগত এক বছর ধরে জেলে আছেন। তাই পেটের টানেই তিনি দৈনিক শ্রমিকের কাজ বেছে নেন। কাজ করতে গিয়ে তাঁর আলাপ হয় হয় সহকর্মী যুবকের সাথে। আলাপ ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণতি পায়। অভিযোগ, মঙ্গলবার কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ব্যক্তিটিকে ডেকে পাঠান গৃহবধূ। কিন্তু ওই ব্যক্তি এলে আচমকাই তাঁদের দুজনকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা। প্রথমে তাঁদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ‘শাস্তিস্বরূপ’ দুজনকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে ঘোরানো হয় সারা গ্রাম। নগ্ন অবস্থাতেই প্রায় এক কিলোমিটার হাঁটতে বাধ্য করা হয় দু’জনকে।
ঘৃণ্য ঘটনাটির খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত প্রায় ৫০-৬০ জন অভিযুক্তকে আটক করেছেন তাঁরা। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়। কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশেও ঘটেছিল প্রায় একই রকমের এক বর্বরোচিত ঘটনা। সেখানে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ সেলাই করে দেন এক প্রৌঢ়। আবারও একইরকম মধ্যযুগীয় ঘটনার সাক্ষী রইল ঝাড়খণ্ড।