সরকার মুখে যতই বলুক সমস্যা নেই, কিন্তু কানাঘুষো ছিলই কয়লা (Coal Crisis) নিয়ে সরকারের চিন্তা সপ্তমে। এবার সরকারের একগুচ্ছ নির্দেশিকার পর একথা যে প্রমাণিত সত্য, বলাই বাহুল্য। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সংকট হঠাৎ-ই তৈরি হয়নি, বরং দীর্ঘদিন সংকটের পাহাড় জমতে জমতে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত দিন কয়েক কয়লা নিয়ে দেশজুড়ে যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে, তাতে সরকার নড়েচড়ে বসেছে। হয়েছে বৈঠক। ড্যামেজ কন্ট্রোলে জারি হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা।
উল্লেখ্য, গতকালই কয়লা ও শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সেরেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজধানী শহর দিল্লিতে যাতে বিদ্যুতের কোন প্রকার ঘাটতি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। 'ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন' বা এনটিপিসি এবং 'দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন' বা ডিভিসি-কে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, চাহিদা মতো বিদ্যুৎ যেন সংস্থাগুলি পায়। এদের তরফে নাকি আশ্বাসবাণীও পাওয়া গেছে। যে রাজ্যগুলিতে মূলত বিদ্যুতের ঘাটতি, সেই রাজ্যগুলির দিকে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, রাজস্থান বাড়তি নজরের তালিকায়। সঙ্গে দক্ষিণাংশের কেরল ও তামিলনাড়ু তো আছেই।
কয়লার পাশাপাশি বিকল্প শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র গুলির দিকে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। গ্যাস থেকে যেসব স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, সেসব জায়গা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় কী না, তার চেষ্টা চালানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যগুলির যেখানে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হয়ে থাকে, সেসব রাজ্য থেকে যোগানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এর সুযোগে বিদ্যুৎ বিক্রির কালোবাজারি চক্র যাতে তৈরি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে স্পষ্ট কয়লা সংকট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে বাড়তি চিন্তার কারণ। যত শীঘ্র সম্ভব এই সমস্যার সমাধানে উদগ্রীব সরকার। আগামী বছর বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই কয়লা সংকট ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা যাতে কোন হাতিয়ার করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর মোদী সরকারের।