কর্ডেলিয়া ক্রুজে রেভ পার্টিতে ড্রাগ মামলায় আরো ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে নারকটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। ওই ক্রুজে দ্বিতীয়বার খানাতল্লাশি করার পরে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে মিউ মিউ ড্রাগ ( মেফিড্রন ) উদ্ধার করেছে এনসিবি। এই মামলায় এর আগে শাহরুখ খান এর পুত্র আরিয়ান খান সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। একটি গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, এনসিবি আধিকারিকরা ওই জাহাজে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ ড্রাগ উদ্ধার করে এনসিবি। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত্রে এনসিবির একটি টিম ওই জাহাজে অভিযান চালায়।
সেখানে খানাতল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ১৩ গ্রাম কোকেন, ৫ গ্রাম এমডি, ২১ গ্রাম চরস এবং এস্ট্যাসির ২২ টি পিল। এছাড়াও ১.৩৩ লক্ষ টাকা ক্যাশ উদ্ধার করা হয়। ওই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এনসিবির জোনাল ডিরেক্টরের সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনি জানাচ্ছেন, ওই জাহাজে একটি পার্টি চলছিল। সেই পার্টিতে ড্রাগস মিলেছে। এই ঘটনায় শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান এবং আরও ৭ জনকে আটক করেছিল এনসিবি। সোমবার এনসিবি আধিকারিকদের কাছে খবর আসে, ওই জাহাজটি সমুদ্র থেকে আবারো ভারতের দিকে ফিরে আসছে। সেই সময় আরো একবার ওই জাহাজে অভিযান চালায় এনসিবির টিম। তখন আরো বেশ কিছু পরিমাণ নিষিদ্ধ ড্রাগ উদ্ধার হয় সেখান থেকে।
তদন্ত চলাকালীন, মুম্বাই এনসিবির ২০ জন আধিকারিক সেই জাহাজে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের বেশ ধরে। এই জাহাজে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ১,৮০০ এর কাছাকাছি মানুষ। তাদের সকলের চেকিং হয়ে যাবার পরে ৮ জন বাদে বাকি সকলকে মুক্তি দেয় এনসিবি। এই আটজনের মধ্যে ছিলেন আরিয়ান খান, মুনমুন ধামেছা, আরবাজ মার্চেন্ট, ইসমিত সিং, মহক জাসওয়াল, গোমিত চোপড়া, নুপুর সারিকা এবং বিক্রান্ত চোকার। রবিবার একটি বিশেষ আদালত এই ড্রাগ মামলায় আরিয়ান খান, মুনমুন ধামেছা এবং আরবাজ মার্চেন্টকে আটক করে রাখার নির্দেশ দেয়।
এনসিবি টিম ওই জাহাজের উপর বেশ কিছুদিন ধরে নজর রাখছিল। তাদের কাছে খবর এসেছিল, ওই জাহাজে একটি ড্রাগ পার্টি হতে চলেছে। সমস্ত কিছু খবর ঠিকঠাক হবার পরে শনিবার সেই অভিযান চালিয়েছিল এনসিবি। সূত্রের খবর, এই ড্রাগ মামলায় জড়িত থাকা প্রসঙ্গে দিল্লির ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কম্পানি নামাস ক্রায় এর আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এনসিবি। ঐদিনের ওই পার্টির সমস্ত ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিল ওই কোম্পানি। এছাড়াও আরো অনেক সংস্থাকে কড়া নজরে রেখেছে এনসিবি। ক্রুজ কোম্পানির আধিকারিকদের এই মামলায় জেরা করার জন্য ডাকা হতে পারে এনসিবির তরফ থেকে।