কিছুদিন আগেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঞ্জাবী গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালার। মানসা জেলার জাওহাররে গ্রামে তাঁর গাড়িতে হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। পাঞ্জাব পুলিশের তরফে সিধু মুসেওয়ালা-সহ ৪২৪ জনের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পরের দিনই এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। শুরু হয়েছিল হত্যাকাণ্ডের তদন্ত।
এরইমধ্যে সিধুর হত্যাকান্ডে লজিস্টিক সহায়তা প্রদান, রেক পরিচালনা এবং আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। তাঁরা হল হরিয়ানার সিরসার সন্দীপ সিং ওরফে কেকদা, ভাটিন্দার তালওয়ান্ডি সাবোর মনপ্রীত সিং ওরফে মান্না, ফরিদকোটের ধাইপাইয়ের মনপ্রীত ভাউ, অমৃতসরের দোদে কলসিয়া গ্রামের সেরাজ মিন্টু, হরিয়ানার তখত-মলের প্রভদীপ সিধু ওরফে পাব্বি, হরিয়ানার সোনিপাতের রেউলি গ্রামের মনু ডাগর, এবং পবন বিষ্ণোই ও নসীব, দুজনেই হরিয়ানার ফতেহাবাদের বাসিন্দা। পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িত চার বন্দুকধারীকেও শনাক্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে খবর, মুসেওয়ালা খুনের তিন দিন আগে তারা সবাই কোটকাপুরা হাইওয়েতে জড়ো হয়েছিল। এরপর কোথায় তাঁরা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে এডিজিপি অ্যান্টি-গ্যাংস্টার টাস্ক ফোর্স প্রমোদ বান মঙ্গলবার জানান যে গোল্ডি ব্রার এবং শচীন থাপনের নির্দেশে সন্দীপ ওরফে কেকদা ফ্যান হিসেবে মুসেওয়ালার গতিবিধির ওপর নজর রাখত। এমনকি হত্যার দিন যখন মুসেওয়ালা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় তার ১৫ মিনিট আগে সেলফিও তুলেছিল কেকদা। তিনি আরও জানান, মনপ্রীত মান্না গাড়ি সরবরাহ করেছিল। পঞ্চম অভিযুক্ত প্রভদীপ সিধু ওরফে পাব্বি গোল্ডি ব্রারের দুই সহযোগীকে আশ্রয় দিয়েছিল। পবন বিষ্ণোই এবং নসিব বোলেরো গাড়িটি শুটারদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এবং তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। এডিজিপি পরমোদ বান আরও জানিয়েছেন, "আইজিপি পিএপি জাসকরন সিংয়ের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল কাজ করছে এবং অপরাধের সাথে জড়িত শ্যুটার এবং অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।"