দিল্লির মাদকচক্রের রানী সানিয়া ২৯ বছর বয়সে চারটে বিয়ে করেছিল। কিন্তু শেষ বিয়ের পর মাত্র ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পেটে যমজ সন্তান নিয়ে চতুর্থ স্বামীর হাতে গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হলো তাকে। ঠিক যেন কোন অ্যাকশন সিনেমার গল্প। তবে এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। দিল্লির ড্রাগ মাফিয়া সানিয়া তার জীবনে মোট ৪ টি বিয়ে করেছে। প্রথম দুই স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পর সে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। তারপর দিল্লিতে এসে নিজ এলাকার ড্রাগ মাফিয়া শরাফত শেখের সাথে তার বিয়ে হয়। তারপর শেষ অর্থাৎ চতুর্থ স্বামী হিসেবে সে ওয়াসিমকে বিয়ে করে। কিছুদিন আগে সানিয়া দিল্লি পুলিশের হাতে ড্রাগ পাচারের অপরাধে গ্রেফতার হয়। কিন্তু সে যেহেতু ৮ মাসের অন্তঃসত্তা ছিলো তাই তার জামিন হয়ে যায়। আর এই জামিন তার জীবনের কাল ডেকে আনল। জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরলে সে জানতে পারে তার নিজের বোন রেহানার সাথে চতুর্থ স্বামী ওয়াসিমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চলছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি হতো এবং শেষে ওয়াসিম তাকে গুলি করে খুন করে।
সিসিটিভি ফুটেজ মারফত জানা গিয়েছে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ওয়াসিম বন্দুক নিয়ে তার স্ত্রী সানিয়া এবং তার কাজের লোককে হত্যা করে। ভিডিও ফুটেজ স্পষ্ট দেখা গেছে যে ওয়াসিম তার বন্ধুকে দুইবার গুলি ভরে সানিয়ার দিকে চালিয়ে দেয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় তার কাজের লোক। পুলিশ ফায়ারিং এর খবর পেলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দেহ উদ্ধার করে। অবশ্য জানা গিয়েছে যে ওয়াসিম নিজেই তার ২ টি বন্দুক নিয়ে নিজামুদ্দিন থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে বলেন যে সে তার স্ত্রী সানিয়াকে গুলি করেছে ।
ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে মাঠে নেমে পড়েছে। হঠাৎ করে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তার স্ত্রীকে খুন করার কারণ খুঁজছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওয়াসিমের অপরাধের পূর্ব কোনো রেকর্ড নেই। হয়তো বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে থাকা রেহানা এই কাজ করতে তাকে বাধ্য করেছে। তবে এই জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না যে দিল্লি মাদকচক্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকানোর জন্য ওয়াসিমকে দিয়ে সানিয়াকে হত্যা করানো হয়েছে। ঘটনার পিছনে পরিকল্পনা কার এবং ঘটনার সত্যতা সম্বন্ধে জানতে পুলিশ তদন্ত করতে নেমে গেছে।