চলতি সপ্তাহে মোদী (Narendra Modi) বড়সড় রদবদল হয়েছে। ৭৮ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে তরুণ সাংসদদের। এই প্রথম এত বেশি সংখ্যক তরুণরা স্থান পেয়েছেন। পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষিত সাংসদদের সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। সব মিলিয়ে আগামী ২০২৪ সালের কথা মাথায় রেখে নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহ জুটি ঢেলে সাজিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভা (Cabinet Ministry)।
সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা সংক্ষেপে এডিআর নামক একটি সংস্থার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, মোদী ক্যাবিনেটের ৪২ শতাংশ মন্ত্রীর নামে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। এমনকী ৪ জন মন্ত্রীর নামে খুনের চেষ্টার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে। এই সংস্থার রিপোর্ট বলছে ৭৮ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মধ্যে ৩৩ জন অর্থাৎ শতাংশের হিসেবে ৪২% ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এমনকী তা তাঁরা স্বীকারও করেছেন। ৩৩ জনের মধ্যে আবার ২৪ জন মন্ত্রীর নামে রয়েছে ভয়ঙ্কর গুরুতর মামলা।
উল্লেখ্য, ৭৮ জন মন্ত্রীসভার ২ জন আছেন অষ্টম শ্রেণি পাস, দশম শ্রেণি পাস ৩ জন, দ্বাদশ শ্রেণি পাস ৭ জন, স্নাতক করেছেন ১৭ জন, পাশাপাশি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে ২১ জনের, পিএইচডি করেছেন ৯ জন। অর্থাৎ ৭৮ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১২ জন শতাংশের হিসেবে ১৫% অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাসের মধ্যে রয়েছে। বয়সের ক্ষেত্রে এবার তারুণ্যের জয়ের কথা বলা হয়েছে। ৭৮ জনের মধ্যে ২২ জন অর্থাৎ ২৮ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে। মন্ত্রিসভার ৭৮ জনের মধ্যে ৭০ জনই কোটিপতি। ৫০ কোটির বেশি সম্পদ রয়েছে ৪ জনের। সবচেয়ে উপরের তালিকায় আছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর সবচেয়ে কম সম্পদ রয়েছে প্রতিমা ভৌমিকের। যাঁকে মন্ত্রিসভার 'দরিদ্র' মন্ত্রীও বলা যায়। যাঁর সম্পদের পরিমাণ ৬ লক্ষ টাকার মতো।