কানপুরে (Kanpur) রাষ্ট্রপতি কনভয় মসৃণ করার জন্য একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর তার জেরেই সৃষ্ট যানজটে আটকে থেকে রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এই ঘটনা জনসমক্ষে আসতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ প্রশাসন। রাষ্ট্রপতি কনভয়ের সময় ডিউটিতে থাকা চারজনকে সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং তিনজন হেড কনস্টেবল। এছাড়া অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা জেনে নিজেও বেশ ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)। তিনি জেলাশাসক ও পুলিশ আধিকারিকদের ডেকে ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নেন।
আসলে গত শুক্রবার রাতে ট্রেনে চেপে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তার তিন দিনের সফর আছে। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তার জন্য কানপুরের একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে শহরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক যানজট। এরমধ্যেই কিছুদিন আগেই কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া বছর পঞ্চাশের বন্দনা মিত্র শুক্রবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাপক যানজটের পড়তে হয় তাদের। তাদের গাড়ি যানজটের মধ্যে একচুল নড়তে পারে না। পরে রাষ্ট্রপতি কনভয় চলে গেলে যানজট ছাড়ে এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে বন্দনা দেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনা জেনে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ টুইট করে শোক প্রকাশ করেছে। তবে পুলিশ অফিসারদের সাসপেন্ড করা বা টুইট করা কি বন্দনাদেবীর পরিবারের মানুষদের কষ্ট লাঘব করতে পারবে? এটাই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।