উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রায় এখনও পর্যন্ত ৩৯ জন তীর্থযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ মারা গেছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, আবার কেউ বা কোনও দুর্ঘটনায়। কেন্দ্র সরকার, উত্তরাখন্ড সরকারকে এই ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। উত্তরাখন্ড সরকার রিপোর্ট জমাও দিয়ে দিয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অক্সিজেনের অভাবই মূলত মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শৈলজা ভাট জানিয়েছেন যে ঋষিকেশ ছাড়াও ভ্রমণ রুটে বিভিন্ন জায়গায় তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, "যেসব তীর্থযাত্রী চিকিৎসাগতভাবে ফিট নন, তাদের ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।" প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুরুতেই ডিজি জানিয়েছিলেন, "ভ্রমণ রুটের বিভিন্ন পয়েন্টে তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।"
ডাঃ শৈলজা ভাট জানিয়েছেন, "ঋষিকেশ আইএসবিটি রেজিস্ট্রেশন সাইটে যাত্রীদের স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রীর যাত্রা রুটে যথাক্রমে ডোবাটা এবং হিনা এবং বদ্রিনাথ ধামের তীর্থযাত্রীদের জন্য পান্ডুকেশ্বরে একটি স্বাস্থ্য স্ক্রীনিং ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।" তিনি জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর যেসব যাত্রীদের শারীরিক সমস্যা ধরা পড়েছে, তাদের বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সুস্থ হবার পর যাত্রায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির উপস্থিতিতে অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে ৩ রা মে ভক্তদের জন্য গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী খুলে দেওয়া হয়েছে। গত ৬ মে কেদারনাথ ও ৮ মে বদ্রীনাথের দরজা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।