বর্তমানে সারাদেশে চলছে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে হাহাকার। তার মধ্যেই এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মোটামুটি ২০০ কোটি করোনা ভ্যাকসিন চলে আসবে ভারতে। বৃহস্পতিবার একজন সরকারি আধিকারিক জানালেন, এই পরিস্থিতিতে ভারত ভ্যাকসিন এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এই ২০০ কোটি ডোজের মধ্যে কোভিশিল্ড হবে ৭৫ কোটি। অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের তৈরি কো ভ্যাকসিন থাকবে মোটামুটি ৫৫ কোটির কাছাকাছি। আগামী ৫ মাসের মধ্যে ভারতে তৈরি হবে ২১৬ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ। আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই নম্বরটা পৌঁছে যাবে ৩০০ কোটির গোড়ায়।
ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য অন্যতম বড় জায়গা হিসেবে উঠে আসলেও ভারত এখনো পর্যন্ত মাত্র ৩ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে। তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেক্সিন বেশি পরিমাণে তৈরি করার উপরে জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারগুলিও ভ্যাকসিন তৈরি দায়িত্ব পালন করবে। যে সমস্ত রাজ্যের ভ্যাকসিনের আকাল পড়েছে সেসব জায়গায় এই ভ্যাকসিন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা নিচ্ছে মোদি সরকার। তাছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভালো ইমেজকে সামনে আনতে এবারে বিভিন্ন জায়গায় সরকারের তরফে অক্সিজেন সাপ্লাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডক্টর ভি কে পাল জানিয়েছেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি ইতিমধ্যেই ভারতে এসে গেছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই প্রোডাক্ট বাজারে চলে আসবে বলেও ধারণা তার। এছাড়াও তিনি জানাচ্ছেন, এফডিএ এবং হু নির্দেশিত যেকোনো ভ্যাকসিন ভারতে আসতে পারে। ১ থেকে ২ দিনের মধ্যেই সব ইমপোর্ট এর লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হবে, কোনো লাইসেন্স আটকানো হবেনা। বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাসে প্রায় ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু সংবাদের ঠিক পরেই এই বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার।