ভারতে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে মোদি সরকার গত আগস্ট মাসে 'ই-শ্রম' পোর্টাল শুরু করেছিল। এই পোর্টাল হল একটি জাতীয় ডাটাবেস। আসলে করোনার শুরুর দিকেই ভারতের বিভিন্ন খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাদের বিশাল সংখ্যার আন্দাজ। তার আগে পর্যন্ত এই সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করার শ্রমিকদের কোনো তথ্য সরকারের হাতে ছিল না। তাই এই পোর্টালে নির্মাণ প্রকল্পে নিযুক্ত কর্মী, পরিযায়ী শ্রমিক, রাস্তাঘাটে পণ্য বিক্রেতা, গৃহ সহায়ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করা শুরু হয়। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই পোর্টালে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকেই প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ শ্রমিক তাদের নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, "এই 'ই-শ্রম' পোর্টালে নথিবদ্ধ কেউ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বীমার সুবিধা পাবেন। কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হলে বা পুরোপুরি অক্ষম হয়ে গেলে দেওয়া হবে ২ লাখ টাকা। আংশিকভাবে অক্ষম হলে পাওয়া যাবে ১ লাখ টাকা। নথিভুক্তকরণ এর পরই মিলবে ই-শ্রম কার্ড। এই কার্ডে থাকবে ১২ সংখ্যার একটি অভিন্ন নম্বর।"

গত শুক্রবারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে আবেদনকারীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন মহিলারা। শতকরার হিসাবে মহিলারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫২.৮৩ শতাংশ এবং পুরুষরা করেছেন ৪১.১৭ শতাংশ। এছাড়া মোট আবেদনকারীদের মধ্যে মাত্র ২৫.৮০ শতাংশ সাধারণ জাতির। এছাড়া অনগ্রসর শ্রেণী, তপশিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যে রয়েছেন যথাক্রমে ৪৫.২৯%, ২১.৯৮% ও ৬.৯৩%। এখন গোটা দেশের মধ্যে এই পোর্টালে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নথিভুক্ত করেছেন যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য থেকে।