আসামের নগাওন এলাকায় একটি ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নেট মাধ্যমে। এখানে ১১ বছর বয়সী দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যৌন নিগ্রহে বাধা দেওয়ার কারণে তারা একটি ৬ বছরের মেয়েকে পাথরের আঘাত করে হত্যা করেছে। তবে এই ঘটনার পিছনে মূল কারণ তাদের পর্ণ আসক্তি। অভিযোগ অনুযায়ী তারা দুজনেই পর্নোগ্রাফিক সিনেমার প্রতি আসক্ত। অনলাইন ক্লাসের জন্য তারা যখন তাদের বাবা-মায়ের ফোন ব্যবহার করত সেই সময় তারা এই ধরনের পর্নোগ্রাফিক সিনেমার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।
এবারে সেই ভিডিওতে দেখা সেক্স্যুয়াল অ্যাক্ট করার জন্য তারা একটি ৬ বছরের মেয়েকে নিয়েও আসে। কিন্তু সেই মেয়েটি যখন তাদেরকে বাধা দেয় তখন এই দুটি ছেলে তাকে পাথর মেরে হত্যা করে। ৮ বছরের আরো একটি ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, অভিযোগ অনুযায়ী সেই ছেলেটি এই দুজনকে সেই মেয়েটিকে হত্যা করতে সাহায্য করেছিল। তাদের দুজনের মধ্যে একজনের পিতাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে কারণ তিনি প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছিলেন। কলিয়াবোর এলাকায় তার বাড়ির সামনেই একটি পাথর ভাঙার কারখানার টয়লেটে সেই মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া যায় অচৈতন্য অবস্থায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
১৮ অক্টোবর এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বুধবার এই ৪ জনকে গ্রেফতার করছিল পুলিশ। নওগাঁ এলাকার পুলিশ সুপারিনটেনডন্ট আনন্দ মিশ্রা জানিয়েছেন, "এই ঘটনার সবথেকে খারাপ দিকটাই হলো অপ্রাপ্তবয়স্কদের পর্ণ ছবির প্রতি আসক্তি।" কালিয়াবর এলাকার সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার মৃন্ময় দাস বলছেন, "এই ৩ টি ছেলের মধ্যে দুজন প্রথমে তাদের প্রতিবেশীর কন্যাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। তারপর যখন সেই মেয়েটি বাধা দেয় এবং তার বাবা ও মাকে এই ঘটনার ব্যাপারে সবকিছু বলে দেওয়ার ভয় দেখায়, তখন এই দুজন সেই মেয়েটির মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে এবং তাকে হত্যা করে। তারপর সেই মেয়েটির মৃতদেহটি নিয়ে যায় স্থানীয় পাথর ভাঙার কারখানার টয়লেটে। সেখানে আবারো তারা ওই মেয়েটির মাথায় এবং বুকে আঘাত করে। তৃতীয় ছেলেটি দরজায় দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল।" ইতিমধ্যেই এই তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীকে জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়েছে। এবং আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদেরকে জোড়হাট জুভেনাইল হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।